চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

ভারতে হাসপাতালে আগুন লেগে ৮ রোগীর মৃত্যু
ছবি-সংগৃহীত

ভারতে হাসপাতালে আগুন লেগে ৮ রোগীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৬ অক্টোবর, ২০২৫ | ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ভারতের জয়পুর শহরে রাজ্য পরিচালিত সওয়াই মান সিং (এসএমএস) হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে লাগা আগুনে ৮ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৫ অক্টোবর) রাতে সেন্টারটির স্টোরেজ এলাকায় আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

 

ট্রমা সেন্টারের দায়িত্বে থাকা ডা. অনুরাগ ঢাক জানিয়েছেন, এ সময় সেন্টারের নিউরো আইসিইউতে ১১ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। একটি শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আগুন লাগার পর হাসপাতাল ভবনজুড়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আগুন থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া দ্রুত বিভিন্ন তলায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে, এতে রোগী ও তাদের সঙ্গে থাকা পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আগুনে হাসপাতালের ওই স্টোরেজে রাখা বিভিন্ন নথি, আইসিইউ উপকরণ, রক্তের নমুনার টিউব ও অন্যান্য বস্তু পুড়ে যায়।

 

হাসপাতালাটির কর্মীরা ও রোগীদের সঙ্গে থাকা স্বজনরা রোগীদের ভবনটি থেকে বের করে নিয়ে আসতে শুরু করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকল কর্মীরা এসে আগুন নেভাতে শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

বিকাশ নামের হাসপাতালের এক ওয়ার্ড বয় পিটিআইকে জানিয়েছেন, আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগে তারা যতোজনকে সম্ভব ভবনটি থেকে বের করে নিয়ে এসেছেন।

 

তিনি বলেন, আমরা অপারেটিং থিয়েটারে ছিলাম, তখন আগুন লাগার কথা শুনতে পাই। আমরা তখনই লোকজনকে উদ্ধার করতে ট্রমা সেন্টারে গিয়ে হাজির হই। তিন থেকে চারজন রোগীকে বাঁচাতে পেরেছি আমরা। এর মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আর ভেতরে যেতে পারিনি। যতোজনকে সম্ভব উদ্ধার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আমরা।

 

তিনি জানান, পরে পুলিশ আসে, কিন্তু ঘন ধোঁয়ার কারণে তারা তখনই ভবনটিতে প্রবেশ করতে পারেনি। দমকল কর্মীরা যখন আসে তখন পুরো ওয়ার্ড ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। দমকল কর্মীরা ভবনের বিপরীত দিকের একটি জানালা ভেঙে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।

 

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রোগীর স্বজনরা তাদের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, ধোঁয়া নজরে আসার পরই তারা বিষয়টি হাসপাতালের কর্মীদের জানিয়েছিলেন, কিন্তু তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি আর আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর কর্মীরা প্রথমেই পালিয়ে যান।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন