
বৃষ্টি এবং বৈরী আবহাওয়া সত্বেও কক্সবাজারের টেকনাফে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় উৎসবের সমাপ্তি হল। পূজা উপলক্ষ্যে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন এর নেতৃত্বে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, র্যাব, আনসার, এপিবিএন ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা প্রদান করেছে।
টেকনাফ উপজেলার ৭টি মন্দিরেই এবার আড়ম্বরপূর্ণভাবে শারদীয় দূর্গোৎসব পালিত হয়েছে। মন্দিরগুলো হচ্ছে টেকনাফ কেন্দ্রীয় বিঞ্চু মন্দির, ডেইলপাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, নাটমুরাপাড়া হরি মন্দির, হ্নীলা পুরান বাজার হ্নীলা কেন্দ্রীয় কালী মন্দির, শামলাপুর বিঞ্চু মন্দির।
টেকনাফ পূজা উদযাপন পরিষদ সুত্রে জানা গেছে, কঠোর নিরাপত্তায় মন্ডপসমূহে অত্যন্ত সুন্দরভাবে পূজার সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। সকলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপন করেছে। কোন ধরণের অপ্রীতিরকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ উপজেলায় এবারে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য হ্নীলা এবং শামলাপুর সী-বীচ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসর্জন চলাকালীন নৌবাহিনী সার্বক্ষণিক টহল কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি কো-অর্ডিনেশন ও মনিটরিং সেল চালু রেখেছিল। এছাড়া নারী ও শিশুদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও জরুরী প্রয়োজনে বিশেষ অভিযানিক টিম প্রস্তত ছিল।
টেকনাফ উপজেলায় এবারে আড়ম্বরপূর্ণভাবে শারদীয় দূর্গোৎসব পালনে সহায়তা হিসাবে সরকার মন্দিরের কমিটির অনুকুলে ৫.২০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছিল।
পূর্বকোণ/পারভেজ