চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

জাতিসংঘে ‘ট্রিপল স্যাবোটাজ’র অভিযোগে তদন্তের দাবি ট্রাম্পের

জাতিসংঘে ‘ট্রিপল স্যাবোটাজ’র অভিযোগে তদন্তের দাবি ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৮:৩৫ অপরাহ্ণ

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ হওয়া, টেলিপ্রম্পটার বিকল ও অডিও সমস্যাকে ‘ত্রয়ী নাশকতা’র (ট্রিপল স্যাবোটাজ) শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার নিউইয়র্কে এ ঘটনার পর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে তাৎক্ষণিক তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, তার জাতিসংঘ সফরে তিনটি সন্দেহজনক ঘটনা ঘটে। এগুলো হলো, চলন্ত সিঁড়ি (এসকেলেটর) হঠাৎ থেমে যাওয়া, ভাষণের সময় টেলিপ্রম্পটার বিকল হয়ে পড়া এবং অডিও সমস্যায় ভাষণ শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাতে না পারা।

ট্রাম্প লিখেছেন, এটি কাকতালীয় নয়, এটি ছিল জাতিসংঘে ত্রিগুণ নাশকতা। দায়ীদের লজ্জিত হওয়া উচিত।

এস্কেলেটরের ঘটনায় ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে।

তিনি নিরাপত্তা ফুটেজ সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সিক্রেট সার্ভিস তদন্ত করছে।’

এ বিষয়ে টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের কিছু কর্মী মজা করে এসকেলেটর বন্ধের কথা বলেছিলেন।

ঘটনাগুলোকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজও তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি এক্স-এ লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের নিরাপত্তা ও মর্যাদার প্রতি হুমকি সহ্য করবে না।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেন, যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এসকেলেটর থামানো হয়ে থাকে, তবে দায়ীদের চাকরি থেকে বহিষ্কার ও তদন্ত করতে হবে।

তবে জাতিসংঘ ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে। মহাসচিবের মুখপাত্র স্তেফান দুজারিক জানান, প্রেসিডেন্টের ভিডিওগ্রাফার পেছনের দিকে হাঁটতে হাঁটতে ছবি তুলছিলেন, এতে হয়তো নিরাপত্তা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে এসকেলেটর থেমে যায়।

টেলিপ্রম্পটার বিকল হওয়া নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, যিনি এটি পরিচালনা করছেন, তিনি বড় সমস্যায় আছেন।

পরে জাতিসংঘ জানিয়েছে, টেলিপ্রম্পটারটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল নিজস্ব ল্যাপটপ দিয়ে পরিচালনা করছিল।

অডিও নিয়েও ট্রাম্প ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বনেতারা দোভাষীর ইয়ারপিস ছাড়া কিছুই শুনতে পাননি। এ বিষয়ে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা জানান, সাউন্ড সিস্টেম এমনভাবে নকশা করা যে অনুবাদকদের মাধ্যমে ছয় ভাষায় শ্রোতারা ইয়ারপিসে বক্তৃতা শুনতে পান।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন