
কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া কচ্ছপিয়ার গহিন পাহাড়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে তিন মানবপাচারকারীকে অস্ত্রসহ আটক করেছে বিজিবি-র্যাব । এ সময় ওই আস্তানা থেকে নারী-শিশুসহ ৮৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা ৮৪ জনের ৬৬ জনই রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার সালামত উল্লাহর ছেলে আবদুল্লাহ (২১), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজরছড়ার আবুল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০) ও একই এলাকার মো. ফিরোজের ছেলে মো. ইব্রাহিম (২০)।
সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে টেকনাফ-২ বিজিবির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, উদ্ধার হওয়া ৮৪ জনের মধ্যে অমিত হাসান ও মানিক মিয়া নামক দুই যুবককে জোর করে পাচারকারীদের ওই আস্তানায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়। অন্যদের আস্তানাটিতে নিয়ে আসা হয় নানা প্রলোভনে। এর মধ্যে অনেককে মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ডে উন্নত জীবনযাপন ও চাকরির প্রলোভন দেখানো হয়েছে। কয়েকজন নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসা হয়।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ওই আস্তানায় অভিযান শুরুর পর পাচারকারীরা যৌথ বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে তিনটি গুলি ছোড়েন। এ সময় কিছু ভুক্তভোগীকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পালাতে চেয়েছিলেন তারা। তবে পুরো পাহাড়টি ঘিরে ফেলে কৌশলে ভুক্তভোগীদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
প্রসঙ্গত: চলতি বছর এ পর্যন্ত টেকনাফে ৬৫ জন মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে ১৬১ জনকে।
পূর্বকোণ/পারভেজ