
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- ডাকসুর ভিপির ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ছাত্র রাজনীতিতে যে নির্বাচন- কি হচ্ছে না হচ্ছে আপনারা সব দেখছেন। কিন্তু একজন ইউনিভার্সিটির যিনি ভিপি হয়েছেন তাকে কি ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে? তিনি ৩ হাজার টাকা ফাইন করে সেটা আবার বাইতুল মালে জমা দিচ্ছেন। এটার কোনো আইনগত ভিত্তি আছে?
তার প্রশ্ন হচ্ছে, ইউনিভার্সিটির মধ্যে কোনটি অবৈধ দোকান, সেটাকে ফাইন করার অধিকার কি ডাকসু ভিপির আছে?
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৭ নভেম্বর প্রজন্ম আয়োজিত ড. মারুফ মল্লিকের একটি বইয়ের আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস হবে জ্ঞানচর্চার একটা বিশাল ক্ষেত্র, জ্ঞানচর্চার আধার হবে ইউনিভার্সিটি। সেই জ্ঞানচর্চার দায়িত্ব পালন করবে ডাকসু। সেই জ্ঞানচর্চায় শিক্ষক-ছাত্রদের অংশগ্রহণ থাকবে- এটা কতটুকু নিশ্চিত করা হচ্ছে তা না করে আপনি যে দোকান বৈধ-অবৈধ তার কাছে ফাইন করছেন। এটা নিয়ে তো আমরা সোশ্যাল মিডিয়া বা কোনো জায়গায় কোনো আলোচনা দেখলাম না।
ফাইনেক টাকা জামায়াতের বাইতুল মালে দেওয়া হয়েছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কে দোকানদারি করছে, কে মার্কেট করছে এটা তো ইউনিভার্সিটির প্রশাসন আছে তারা দেখভাল করতে পারে। সেখানে ছাত্রনেতা গিয়ে বলতে পারে যে, এখানে ক্যাম্পাসের যে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আছে এটা বিঘ্নিত হচ্ছে স্যার। এটা আপনি দেখেন। আপনি গিয়ে ফাইন করে দিচ্ছেন আর সেই ফাইনের টাকা যাচ্ছে জামায়াতের বায়তুল মালে। এটা কোন ধরনের বিষয়? বরাবর আমরা দেখি এদের একটা কর্মকাণ্ড হচ্ছে রাষ্ট্রের মধ্যে রাষ্ট্র বানানো। সেই পরিবেশ আমরা দেখেছি আবার ইউনিভার্সিটির হলগুলোতে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, অনেকেই বলেন অমুক খারাপ আমরা ভালো। আপনি ভালো সেটা খোঁজ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে যে, বালুমহালের সঙ্গে বিএনপির লোক জড়িত যদি থাকে জামায়াতের লোকও জড়িত আছে। সেটাও গণমাধ্যমে আসছে। সিলেটের পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জামায়াতের নেতার নাম পাওয়া যাচ্ছে, নারীঘটিত বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে নাম পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপি করছে, বিএনপি করছে। বিএনপি তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ওটা তো ফলাও করে আপনারা বলছেন না।
পূর্বকোণ/পারভেজ