
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান লড়াই বলে যে ক্ল্যাসিক দ্বৈরথের কথা বলা হচ্ছিল তার ছিটেফোঁটাও দেখা মিললো না। গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে দাপট দেখিয়ে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।
দুবাইয়ে ১২৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সূর্যকুমারের ৩৭ বলে অপরাজিত ৪৭ রানে ভর করে ভারত ২৫ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেছে। তাতে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে পাকিস্তানের ওপর ভারতের আধিপত্য অব্যাহত থাকলো ১১-৩ ব্যবধানে।
টস জিতে পাকিস্তান ব্যাটিং নেওয়ার পর ম্যাচের প্রথম বলে হার্দিক পান্ডিয়া সাইম আইয়ুবকে ফেরালে পুরো ম্যাচটা হয়ে দাঁড়ায় একপেশে। ভারতের আধিপত্যবিস্তারি বোলিং আক্রমণের সামনে পাকিস্তানের ব্যাটিং দাঁড়াতেই পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে হারাতে ৯৭ রান তুলতেই পতন হয় ৮ উইকেট। ওপেনিংয়ে নামা শাহেবজাদা ফারহান লড়াই করেছেন। তার পর লেজের দিকে ঝড়ো ব্যাটিং করে স্কোরটা সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যান পেসার শাহীন আফ্রিদি। ফারহান ৪৪ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৪০ রান। আফ্রিদি ১৬ বলে ৪ ছক্কায় খেলেন ৩৩ রানের অপরাজিত ক্যামিও ইনিংস।
কুলদীপ যাদব ১৮ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরাও তিনি। জসপ্রীত বুমরা ও অক্ষর প্যাটেল নিয়েছেন দুটি করে। হার্দিক ও বরুণ চক্রবর্তী নিয়েছেন একটি উইকেট।
জবাবে ভারত দ্বিতীয় ওভারে হারায় শুবমান গিলের (১০) উইকেট। ততক্ষণে তাণ্ডব শুরু করে দেন আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়েই ৩.৪ ওভারে স্কোর দাঁড়ায় ৪১ রান। একই স্কোরে অভিষেক কাটা পড়েন ৩১ রানে। তার ১৩ বলের মিনি ঝড়ে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়।
অভিষেক ঝড় থামলেও অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব অপরাজিত ৪৭ রানে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। সূর্যকুমার বাঁহাতি ব্যাটার তিলক বর্মাকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেন ৫৬ রান। তিলক ৩১ রান করে সাইম আয়ুবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত অধিনায়কই ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন।
তিলকের ৩১ বলের ইনিংসে ছিল ২ চার ও ১ ছক্কা। শেষ দিকে শিবম দুবে ৭ বলে ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১০ রানে। ভারত ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জেতে ১৫.৫ ওভারে। পাকিস্তানের হয়ে ৩টি উইকেট নেন সাইম আইয়ুব।
গ্যালারিতে ভারতীয় সমর্থকদের উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তে, যদিও স্টেডিয়ামের বেশিরভাগ আসন ছিল খালি। সামরিক সংঘাতের পর এই প্রথম ম্যাচ খেলতে নামলেও তার প্রভাবও পড়েছিল। ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়রা হাত মেলানো ছাড়াই মাঠ ছাড়েন।
পূর্বকোণ/ইবনুর