
মানবতা প্রদর্শনের মাধ্যমে ঐশী প্রেম অর্জন করাই ঈদে মিলাদুন্নবী(স.) মূল তাৎপর্য । বিশিষ্ট মাইজভান্ডারি গবেষক ও লেখক শাহেদ আলী চৌধুরী বলেছেন, “প্রিয় রাসুল (স.) এর পবিত্র সত্তা আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত। ইহকাল ও পরকালে তারই রহমতের বারিধারা প্রবাহিত। তাঁর গুণগান শান-মান, মর্যাদা ও মাহাত্ম্য স্মরণ করা ও আলোচনা করা আল্লাহর আনুগত্যের নামান্তর।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়িতে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) ও আশেকানে হক ভান্ডারি শোকর-এ-মওলা মঞ্জিলের বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
বিশিষ্ট ব্যাংকার মুহাম্মদ আজমের সভাপতিত্বে নেওয়াজ শাহরিয়ার আসিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাইজভান্ডারি গাউসিয়া হক কমিটি, কেন্দ্রীয় পর্ষদের সাংগঠনিক সমন্বয়ক মাস্টার আহমদ হোসেন, মাহবুব সওদাগর, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভান্ডারি বলেন, “আল্লাহর রাসুল (স.) এর আদর্শ ও শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমে মানবতাবোধ, ঐশী প্রেম এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক পবিত্র ও আধ্যাত্মিক উপলক্ষ। হুজুর গাউসুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) মাইজভান্ডারির দর্শন অনুসারে নবী(স.)-এর জীবন ও শিক্ষার মাধ্যমে আল্লাহর পথ অনুসরণ করা এবং মানবতার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শনের মাধ্যমে ঐশী প্রেম অর্জন করাই ঈদে মিলাদুন্নবী(স.) দিবসের মূল তাৎপর্য।”
পরকালকে স্বীকার না করলে মানুষের অন্তর কাতর হবে না বলে মন্তব্য করে গবেষক শাহেদ আলী চৌধুরী তার বক্তব্যে আরও বলেন’ মাইজভাণ্ডারী দর্শন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে নৈতিকতার ওপর ভিত্তি করে ঐক্যবদ্ধ করে এবং বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। এই দর্শন জাতিগত ও ধর্মীয় ভেদাভেদ নিরসন করে মানুষকে ‘ভালোবাসা ও ভক্তি’র মাধ্যমে একতার পথে আহ্বান করে, যেখানে মূল লক্ষ্য থাকে মানবতার বিকাশ ও সত্য উপলব্ধির দিকে ধাবিত হওয়া। আর নিজেকে আত্মসমর্পণ করলে মাইজভান্ডারি দর্শনের রহস্য বুঝা যাবে না।”
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মাদ্রাসা-এ- গাউসুল আজম মাইজভান্ডারি’র প্রভাষক মাওলানা মুজিবুল হক, আলোচনায় অংশ নেন শোকর মওলা মঞ্জিলের উপদেষ্টা সৈয়দ শফিউল আজিম সুমন, এস এম এমরান, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ ওমর ফারুক ও সজীবুল হাসান চৌধুরী।
সভায় আগামী এক বছরের জন্য “আশেকানে হক ভান্ডারি শোকর এ মওলা মঞ্জিলের ৮ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি এবং ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। মাইজভান্ডারি গবেষক ও লেখক শাহেদ আলী চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টা, ব্যাংকার মুহাম্মদ আজম ও ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইব্রাহিম পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ