চট্টগ্রাম শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর সঙ্গে বাড়ছে চিকুনগুনিয়া, চিকিৎসকদের সতর্কবার্তা

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর সঙ্গে বাড়ছে চিকুনগুনিয়া, চিকিৎসকদের সতর্কবার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৫:২৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর পাশাপাশি দ্রুত বাড়ছে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ—এ বিষয়ক সাম্প্রতিক চিকিৎসা আপডেট তুলে ধরতে নগরীর জিইসি এলাকায় এক বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ওয়েল পার্ক রেসিডেন্স বুটিক হোটেল অ্যান্ড সুইটসের নবম তলায় এ আয়োজন করে অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড।

 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রধান ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম. এ. হাসান চৌধুরী। তিনি চিকুনগুনিয়ার ক্লিনিক্যাল বৈশিষ্ট্য, রোগ নির্ণয়, জটিলতা এবং প্রতিরোধব্যবস্থা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন।

 

অধ্যাপক হাসান চৌধুরী জানান, চলতি মৌসুমে ডেঙ্গুর পাশাপাশি চিকুনগুনিয়াও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। রোগটির প্রধান লক্ষণ হলো হঠাৎ উচ্চ জ্বর, জয়েন্টে প্রচণ্ড ব্যথা (বিশেষত কবজি, গোড়ালি, হাঁটু ও হাত-পায়ে), মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, ক্লান্তি এবং ত্বকে ফুসকুড়ি। এ ব্যথা কারও কারও ক্ষেত্রে সপ্তাহ, মাস বা এমনকি বছরজুড়েও স্থায়ী হতে পারে। আবার অনেক সময় উপসর্গ না থাকায় রোগ শনাক্তকরণ আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

 

তিনি সতর্ক করে বলেন, “ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় রোগ নির্ণয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। পাশাপাশি চিকিৎসকদের রোগীকে আশ্বস্ত করে ভয়ের পরিবেশ এড়াতে হবে।” তিনি রোগ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতার গুরুত্বও তুলে ধরেন।

 

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অসীম কুমার বড়ুয়া, বিআইটিআইডি’র ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশীদ, মা ও শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. জালাল উদ্দিন, ডা. রজত শংকর রায় বিশ্বাস, মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুল হক এবং চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কামরুন নাহার।

 

অনুষ্ঠানে করপোরেট প্রেজেন্টেশন করেন অপসোনিন ফার্মা লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার (মেডিকেল সার্ভিসেস) আহমদ সাইফ হাসান আল বান্না এবং বক্তব্য রাখেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেলস ম্যানেজার মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল।

 

আয়োজকরা জানান, চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের প্রায় দুই শতাধিক চিকিৎসক এ বৈজ্ঞানিক আলোচনায় অংশ নেন। তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সেমিনার প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। আয়োজকদের আশা, এ ধরনের উদ্যোগ চিকিৎসকদের হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা বাড়াবে এবং রোগ ব্যবস্থাপনায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট