
বার আউলিয়ার পুণ্যভূমি চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষ্যে লাখো ধর্মপ্রাণ মানুষের অংশগ্রহণে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হবে আজ। সকাল ৮টায় নগরীর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকা থেকে শুরু হওয়া এ জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন দরবারে সিরিকোটের সাজ্জাদানশীন পীর আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (ম. জি. আ.)। অতিথি থাকবেন সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (ম. জি. আ.) ও সৈয়দ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ (ম. জি. আ.)।
গতকাল শুক্রবার ষোলশহরের আলমগীর খানকায়ে কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। শতবর্ষে পা দেওয়া দ্বীনি সংগঠন আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে এ বছর ৫৪ বারের মতো জশনে জুলুসের আয়োজন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল চট্টগ্রামে প্রথম জশনে জুলুসের সূচনা হয়। প্রথম জুলুসে নেতৃত্ব দেন গাউসে জামান আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (ম. জি. আ.)। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষ্যে জুলুস উদযাপিত হয়ে আসছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর জশনে জুলুসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ আশেকে রাসুল (স.) অংশ নেন। সংবাদ মাধ্যমের কল্যাণে সারা বিশ্বের মুসলমানরা বাংলাদেশে উদযাপিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ জশনে জুলুস দেখতে পারেন। এবারের জুলুসেও মানুষের অংশগ্রহণ অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে যাবে।
জুলুসের সার্বিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য অংশগ্রহণকারীদের পুলিশ প্রশাসন এবং আনজুমান ট্রাস্ট ঘোষিত নিয়ম মেনে চলার উদাত্ত আহ্বান জানান মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এ জন্য এবারের জশনে জুলুসে ড্রোন সেট প্রবেশ, নারীদের অংশগ্রহণ ও খাবার নিক্ষেপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক আমির হোসেন সোহেল, এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, আবু তালেব বেলাল প্রমুখ।
জশনে জুলুসের রোড ম্যাপ: সকাল ৮টায় ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকা থেকে জুলুস শুরু হবে। এরপর বিবিরহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর, দুই নম্বর গেট, জিইসি ঘুরে একই পথে ফিরে আসবে জামেয়া মাদরাসার জুলুস মাঠে। সেখানে মাহফিল ও জোহরের নামাজ শেষে দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হবে।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ