চট্টগ্রাম সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

নারায়ণগঞ্জে পাসপোর্ট করতে গিয়ে রোহিঙ্গা নারীসহ আটক ২
আটক রোহিঙ্গা নারী ও বাংলাদেশি যুবক

টেকনাফের রোহিঙ্গা ডাটাবেজে মহিলার আসল নাম মিনারা

নারায়ণগঞ্জে পাসপোর্ট করতে গিয়ে রোহিঙ্গা নারীসহ আটক ২

টেকনাফ  সংবাদদাতা

২৭ আগস্ট, ২০২৫ | ১১:৫৫ অপরাহ্ণ

টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে পাসপোর্ট করতে এসে ধরা পড়েছেন এক রোহিঙ্গা নারী। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে ফতুল্লার মাহমুদনগরস্থ নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় আটক নারীর স্বামী পরিচয় দেওয়া বাংলাদেশি যুবক মেজবাহকেও আটক করা হয়েছে।

 

জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্রে আটক ওই নারীর নাম হাসিনা (২৯)। পরিচয়পত্রে পিতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে জালাল আহমদ এবং মায়ের নাম আমিনা খাতুন। ঠিকানা দেওয়া হয়েছে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ হ্নীলা মৌজার মোচনী গ্রামের ১০৪৮ নম্বর বাড়ি। আর রোহিঙ্গা ডাটাবেজে তার আসল নাম মিনারা (৩৫)। তার পিতার বাম বদুরুস মিয়া। তিনি ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তার রোহিঙ্গা রেফারেন্স নম্বর ১৪০২০১৭১২২৮১৫৩৬৫৬।

 

পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, আটক ওই নারী পাসপোর্ট করতে গেলে প্রথমে তার কাগজপত্র গ্রহণ করা হয়। সব কাগজপত্র দেখে মনে হচ্ছিল ঠিক আছে। তবে দূরের জেলা হওয়ায় এবং কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিনে আঙুল রাখার পরপরই দেখা যায়, তার ফিঙ্গার রোহিঙ্গা ডাটাবেসে আগে থেকেই সংরক্ষিত।

 

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক শামীম আহমদ বলেন, ঘটনার পরপরই হাসিনাসহ দুজনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের আটকের ক্ষেত্রে আমরা কোনো প্রকার ছাড় দিচ্ছি না। বিষয়টি সরকারের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। আমরা নিয়মিতই অভ্যন্তরীণ তদারকি বাড়াচ্ছি, যাতে কোনোভাবেই অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে না পারে।

 

আমাদের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ পাসপোর্ট করতে আসেন। সেই ভিড়ের ভেতরে কারো ভুয়া বা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে পাসপোর্ট করতে চাওয়ার প্রবণতা আমরা থামাতে বদ্ধপরিকর। যতই কৌশল ব্যবহার করা হোক না কেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আমরা কোনো ধরনের নমনীয়তা দেখাই না। ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

পূর্বকোণ/কাশেম/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট