চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

শ্রীলঙ্কায় সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে গ্রেপ্তার
সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহ

শ্রীলঙ্কায় সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

২২ আগস্ট, ২০২৫ | ৬:৫৭ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহারে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকালে বিদেশ সফরের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। তাকে শুক্রবার রাজধানী কলম্বোর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে; তবে দিনের প্রথমভাগেই তিনি অভিযোগের বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তার ভাষ্য জানিয়ে দিয়েছেন।

 

চরম অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে সৃষ্ট গণবিক্ষোভের ধাক্কায় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বিক্রমাসিংহে ওই পদে বসেন। তিনি ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দ্বীপ দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন।

 

এই সময়ের মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে খানিকটা টেনে তোলায় তাকে অনেকেই কৃতিত্ব দেন।

 

বিক্রমাসিংহে ১৯৯০-র দশক থেকে এ পর্যন্ত আলাদা আলাদা ছয়বার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। ৭৬ বছর বয়সী এ রাজনীতিক প্রেসিডেন্ট থাকাকালে মোট ২৩টি বিদেশ সফর করেছিলেন, তাতে প্রায় ২০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর মধ্যে কিউবায় ২০২৩ সালে জি৭৭ সম্মেলনও আছে। ওই সম্মেলন শেষে ফেরার পথে বিক্রমাসিংহে যুক্তরাজ্যে বিরতি নিয়েছিলেন।

 

এরপর তিনি ও তার স্ত্রী ওলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। একে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়ে ব্যক্তিগত ভ্রমণ হিসেবে দেখছে শ্রীলঙ্কার সিআইডি। এই অভিযোগেই সাবেক প্রেসিডেন্টকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্রমাসিংহে তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

 

সিআইডি প্রাথমিকভাবে জুনেই তাদের তদন্তের বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছিল। বিক্রমাসিংহের আগে কখনোই শ্রীলঙ্কার কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার হননি। ১৯৭৭ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দ্বীপ দেশটির রাজনীতিতে তিনি প্রভাবশালী হিসেবেই বিবেচিত হয়ে আসছিলেন।

 

পেশায় আইনজীবী বিক্রমাসিংহে অবস্থাপন্ন যে পরিবার থেকে রাজনীতিতে এসেছেন সে পরিবারে রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। ১৯৯৪ সালে নেতৃত্বভার নেওয়ার পর দল থেকে দুর্নীতিবাজ সদস্যদের তাড়িয়ে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে তাকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। তিনি বেশ কয়েকবারই প্রেসিডেন্ট হতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু রাজাপাকসে পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেই চেষ্টাগুলোর কোনোটিই সফলতার মুখ দেখেনি। অথচ ২০২০ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দল প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল, সেবার কেবল তিনিই দলের প্রতিনিধি হয়ে পার্লামেন্টে যেতে পেরেছিলেন।

 

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন