চট্টগ্রাম সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫

কর্ণফুলীতে জমি নিয়ে বিরোধ, পিতা-পুত্রসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম
তুচ্ছ ঘটনায় পিতা-পুত্রসহ তিনজনকে কুঁপিয়ে জখমের ঘটনায় ঘটনাস্থলে দেখা যায় ছোপ ছোপ রক্তের দাগ

কর্ণফুলীতে জমি নিয়ে বিরোধ, পিতা-পুত্রসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম

কর্ণফুলী সংবাদদাতা

১৭ আগস্ট, ২০২৫ | ১০:২৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পিতা ও দুই ছেলেকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে।

 

রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার দইয়্যার ভাণ্ডার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

এ ঘটনায় ওই বাড়ির নুর মোহাম্মদ (৫৭) তার দুই ছেলে আবদুল কাদের (৩৪) এবং ফজল কাদের (৩২) জখম হয়। এদের মধ্যে ফজল কাদেরের অবস্থা গুরুতর বলে পুলিশ এবং ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে আহত নুর মোহাম্মদ এবং প্রতিবেশী মৃত আবদুল নবী প্রকাশ পুলিশ নবীর পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। রোববার সকালে বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত ডোবাতে মাছের ছিপ বসানো নিয়ে নুর মোহাম্মদ ও আবদুল নবীর ছেলে দিদারের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়।

 

তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দিদারের সঙ্গে তার ভাই আবদুর রহমান, সোহেল, আব্বাস, আবদুল হালিম ও তার পুত্র রাকিব সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে এসে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে নুর মোহাম্মদ ও তার দুই ছেলেকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন। এ সময় স্থানীয়রা গুরুত্বর আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

 

রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের মেজে এবং উঠানে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ দেখা যায়। আহত নুর মোহাম্মদের স্ত্রী এবং আহত আবদুল ও ফজলের মা নুর নাহার বেগম ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, নবীর ছেলে দিদার, আবদুল হালিম, সোহেল, আব্বাস, আব্দুর রহমান এবং তাদের নাতি রাকিব দা কিরিচ দিয়ে আমার স্বামী ও দুই ছেলেকে উঠানে ধাওয়া দিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে কুঁপিয়েছে।

 

তিনি আরো বলেন, তারা আমাদের আগে থেকেই মারার জন্য হুমকি দিয়েছিল। আজ তারা পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে।

 

চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল (চমেক) থেকে আহত নুর মোহাম্মদের ছেলে আমজাদ বলেন, মৃত আবদুল নবীর সন্তানেরা একত্রিত হয়ে আমাদের পরিবারের উপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। এখন ভাই ফজল কাদের এবং বাবা আইসিইউতে আছে। তাদের কারো জ্ঞান ফিরেনি। আরেক ভাই আবদুল কাদেরও চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনজনের অবস্থা গুরুত্বর। আমরা এ ঘটনায় মামলা দায়ের করব।

 

এদিকে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মৃত আবদুল নবীর সন্তানেরা পলাতক রয়েছেন। এবিষয়ে তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা কর্ণফুলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল হক বলেন, হামলার ঘটনায় এক পরিবারের তিনজন গুরুত্বর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ফজল কাদেরের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 

তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে ওই পরিবারের দুই পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হামলায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

 

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ।

 

পূর্বকোণ/নয়ন/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট