
চট্টগ্রামের বন্দর এলাকায় পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধাদান ও পুলিশকে আঘাত করার ঘটনায় সরাসরি জড়িত দুই আসামিকে ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে আসামিরা চন্দনাইশ থানাধীন দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পাহাড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে মোট ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে—গ্রেপ্তারকৃত দুজন সরাসরি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, গত ১১ আগস্ট রাত ২টার দিকে সল্টগোলা ক্রসিংয়ের ইশান মিস্ত্রি হাট সংলগ্ন সড়কে আওয়ামী লীগের মিছিলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়।। এ সময় বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাইদ রানা নামে এক পুলিশ সদস্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মো. আমিরুল ইসলাম জানান, আহত পুলিশ সদস্যের সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করানো হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরদিন ১২ আগস্ট এই হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। ঘটনায় মোট ৫৮ জনকে আসামি করা হয়। যার মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরাও রয়েছেন। এই পর্যন্ত মোট ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৩ আগস্ট রাতে পুলিশের সামনে কেউ অস্ত্র বের করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যদের গুলি করার নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ। এক ওয়্যারলেস বার্তায় সিএমপির পুলিশ সদস্যদের এই নির্দেশনা দেন।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ