চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

আড়াই হাজার নবীনকে বরণ করল চবি শিবির
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় আড়াই হাজার নবীন শিক্ষার্থী বরণ অনুষ্ঠান

আড়াই হাজার নবীনকে বরণ করল চবি শিবির

চবি সংবাদদাতা

১৬ আগস্ট, ২০২৫ | ১১:১৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় আড়াই হাজার নবীন শিক্ষার্থীকে বরণ করে নিয়েছে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন শীর্ষক এ অনুষ্ঠান শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসংলগ্ন বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী। কি-নোট স্পিকার ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার ড. মো. আশিকুর রহমান, যিনি ইরাসমাস ন্যাশনাল ফোকাল পয়েন্টস ইউরোপীয় কমিশনের আঞ্চলিক পরিচালক ও ইরাসমাস মন্ডুস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি।

 

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী এবং শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন রনি।

 

কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম তার বক্তব্যে বলেন, দেশের পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ দুর্নীতি। পদ্মা সেতু নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন ছিল, তার দ্বিগুণ টাকা দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বিগত সরকার দিল্লির স্বার্থই রক্ষা করেছে।

 

নবীনদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে প্রথম বর্ষ থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। ফার্স্ট ইয়ারকে ‘রেস্ট ইয়ার’ ভাবলে চলবে না। পরিকল্পনা অনুযায়ী পড়াশোনা করে দক্ষ, সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে উঠতে হবে।

 

প্রধান আলোচক ড. আশিকুর রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তমঞ্চ। এখান থেকেই উন্নতির দিকে এগোনো যায়, আবার ধ্বংসের দিকেও যেতে হয়। তাই জ্ঞান, প্রযুক্তি আর দক্ষতায় সমৃদ্ধ হয়ে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে হবে।

 

অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী বলেন, শিক্ষার্থীদের নিজেদের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি বাবা-মা ও শিক্ষকদের স্বপ্নও বাস্তবায়ন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনকে আগামীর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার প্রস্তুতি হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত নবীন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ নিয়ে নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এক নবীন ছাত্রী বলেন, প্রথমে দ্বিধায় ছিলাম, আসব কি না। কিন্তু আসার পর মনে হচ্ছে আমার আসাটা সত্যিই স্বার্থক। আন্তর্জাতিক স্কলারদের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।

 

আরেক নবীন শিক্ষার্থী বলেন, অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর এভাবে কেউ আমাদের বরণ করেনি। এজন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ।

 

পূর্বকোণ/জুনায়েদ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট