
মানবিক উদ্যোগ ‘আশ বাজার’–এর বহুল আলোচিত কার্যক্রম ‘ক্রয়মূল্যে বিক্রি’ ও ‘আমদানি মূল্যে বিক্রি’ এবার সারাদেশে বিস্তৃত হতে যাচ্ছে। উদ্যোগটি শুরু হচ্ছে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম থেকে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ইতোমধ্যে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ‘আশ বাজার’ স্টল স্থাপনের অনুমতি দিয়েছেন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত এসব স্থানের জন্য কোনো ভাড়া দিতে হবে না। ফলে পণ্যের ওপর আরোপিত খরচ তুলনামূলকভাবে কম থাকবে।
পণ্যের উৎপাদনমূল্য/ ডিস্ট্রিবিউটর (নট ডিলার) মূল্য/ আমদাইন মূল্যের সঙ্গে শুধু ন্যূনতম ম্যানেজমেন্ট খরচ ও এজেন্টের সামান্য লাভ যোগ করে পণ্য বিক্রি হবে। এতে বাজারের প্রচলিত খুচরা মূল্যের চেয়ে দাম অবশ্যই কিছুটা কম থাকবে। পাশাপাশি, আশ বাজারের স্বল্প লাভ থেকে একটি অংশ দেশ-বিদেশে মানবিক কার্যক্রমে ব্যয় করা হবে।
উদ্যোগটি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রথম ধাপে শুধুমাত্র চট্টগ্রামে এজেন্ট/বিক্রয় সহযোগী নিয়োগ দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জেলাতেও এজেন্ট নিয়োগ করা হবে।
যারা অংশ নিতে পারবেন
যাদের নিজস্ব দোকান বা আউটলেট আছে, অথবা যারা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে নিজ খরচে (প্রায় ২ লাখ টাকায়) দোকান নির্মাণে আগ্রহী, এসব দোকানের জন্য কোনো মাসিক ভাড়া দিতে হবে না।
পণ্য নির্ধারিত মূল্যে নগদ অর্থ দিয়ে আশ বাজার থেকে সংগ্রহ করে বিক্রি করতে হবে। বিক্রয় কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে নির্ধারিত সফটওয়্যার, যার মাধ্যমে সহজেই লাভ-ক্ষতি, স্টক ও অর্ডার ট্র্যাক করা যাবে।
প্রথমে ‘পুষ্টি’ ব্র্যান্ডের প্রায় ১০০–১৩০টি পণ্য নিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও ধাপে ধাপে অন্যান্য ব্র্যান্ড এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা নানাবিধ পণ্য যুক্ত হবে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে স্পেশাল ডিস্ট্রিবিউটরশিপ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, আশ বাজার হলো প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় অধিভুক্ত এনজিও বিষয়ক ব্যুরো অনুমোদিত সংস্থা আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের একটি মানবিক উদ্যোগ। এখান থেকে অর্জিত লাভের একটি অংশ দেশ-বিদেশের কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হয়। যেমন, ‘হানিয়া’ খেজুরের প্রতি কার্টন থেকে ১০০ টাকা করে গাজার মানবিক কর্মসূচিতে প্রদান করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ