
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টায় রাজাখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটলেও গতকাল শুক্রবার এ ঘটনায় ২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে ভিকটিমকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানায়, প্রতিবেশি নুরুল হুদার ছেলে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ইমুর মাধ্যমে ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। গত সোমবার রাত ১১টায় আরিফ ভিকটিম কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। তার চিৎকার শুনে ভিকটিমের পিতা-মাতা এসে ঘরের দরজা ভেঙে অভিযুক্তকে হাতেনাতে আটক করে। পরে স্থানীয়রা জড়ো হলে সমাজ পরিচালনা কমিটির (পাড়ার) সর্দার রফিক আলম বিচার করার আশ্বাস দিয়ে আরিফকে তার জিম্মায় ছাড়িয়ে নেন।
কিশোরীর পিতা বাদশাহ মিয়া বলেন, সর্দার রফিক আলম পরদিন সকালে বিচারের কথা বলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং জানান, আরিফ পালিয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, সর্দার ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করেছেন। আমার তিন মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী। আমি মেয়ে ধর্ষণের উপযুক্ত বিচার চাই। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি।
এ ঘটনায় স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান হোসাইন শহিদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং ভিকটিমের পরিবারকে ধর্ষণের মামলা করতে থানায় যেতে বলেছি। ভিকটিমের পিতা একজন দিনমজুর এবং অত্যন্ত গরিব। ঘটনাটি খুব অমানবিক হয়েছে। তার একে একে ৩টি মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী।
অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম টমটম চালক বলে জানা গেছ। তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিক আলম দাবি করেন, দু’পক্ষের সম্মতিতে বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু ভিকটিমের পরিবার পরে তা মেনে নেয় নি। আরিফকে আমার জিম্মায় ছাড়া হয় নি। সিরাজুল ইসলাম নামে ভিকটিমের আত্মীয় আরিফকে ঘটনার দিন রাতে ছেড়ে দিয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিমাংস করা যায় কি না জানতে চাইলে রফিক আলম বলেন, এ ধরণের অনেক ঘটনা আমরা স্থানীয়ভাবে আগেও নিষ্পত্তি করেছি। সে লক্ষে সমাধান করার চেষ্টা করছিলাম।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে গতকাল রাতে মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের ধরতে জোর তৎপরতা চলছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ