চট্টগ্রাম শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্প বৈঠকে সমঝোতা হল না

আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্প বৈঠকে সমঝোতা হল না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ আগস্ট, ২০২৫ | ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলাস্কায় প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি।

 

তিনি বলেছেন, শুক্রবার আলাস্কায় তাদের বৈঠক ‘খুবই ফলপ্রসূ’ হয়েছে, তবে চূড়ান্ত লক্ষ্যে ‘পৌঁছানো যায়নি’। বৈঠক শেষে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ট্রাম্প ও পুতিন যখন যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। 

 

ট্রাম্প বলেন, “অনেক, অনেক বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। আমি বলব, কয়েকটি বড় বিষয়ে আমরা এখনও পুরোপুরি মতৈক্যে পৌঁছাতে পারিনি, তবে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে।”

 

তার ভাষায়, “চুক্তি তখনই হবে, যখন সমঝোতা হবে।”

 

রয়টার্স লিখেছে, গত ৮০ বছরের মধ্যে ইউরোপের ভয়াবহতম যে যুদ্ধ ইউক্রেনে চলছে, তার অবসান ঘটানোই ছিল ট্রাম্পের আলাস্কা বৈঠকের ঘোষিত লক্ষ্য।

 

তবে বৈঠক শেষে যুদ্ধবিরতির কোনো ঘোষণা আসেনি। এই আলোচনা আদৌ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

 

বিবিসি লিখেছে, ট্রাম্প নিজেকে শান্তির দূত এবং সফল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরতে ভালোবাসেন। তবে সম্ভবত আলাস্কা থেকে এর কোনোটিই তিনি অর্জন করতে পারেননি।

 

সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, “একটি স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান আনতে হলে আমাদের সংঘাতের মূল কারণগুলো দূর করতে হবে।”

 

তবে ‘মূল কারণ’ বলতে কী বোঝাচ্ছেন, তা ব্যাখ্যা করেননি পুতিন।

 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেইন ও ইউরোপীয়রা যেন এই শান্তি প্রক্রিয়ায় ‘বাধা সৃষ্টি’ না করে, সেটাই তিনি চান।

 

তার ভাষায়, ট্রাম্প স্পষ্টতই তার দেশের সমৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত। তবে তিনি এটাও বোঝেন যে রাশিয়ারও নিজস্ব স্বার্থ আছে।

অন্যদিকে, ট্রাম্প আশা করেছিলেন, তিনি যদি যুদ্ধবিরতি এনে দিতে পারেন, তাহলে তা কেবল ওই অঞ্চলে শান্তিই ফেরাবে না, তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য একজন শান্তিদূত হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করবে।

 

সেই বিচারে এখন পর্যন্ত বৈঠকের ফল তার জন্য কিছুটা হতাশাজনকই বটে।

 

গত সাড়ে তিন বছরে ইউক্রেইন যুদ্ধে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষর প্রাণ গেছে। তাদের একটি বড় অংশ ইউক্রেইনীয়।

 

ইউক্রেন থেকে শত শত শিশুকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) পরোয়ানা জারি রয়েছে। রাশিয়া ওই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

 

সেই পরোয়ানা মাথায় নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভ্যর্থনা নিয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করে মস্কো ফিরে গেলেন ভ্লাদিমির পুতিন।

রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্র কেউই আইসিসির সদস্য নয়। ফলে আলাস্কায় পুতিনকে গ্রেপ্তার করা হবে–এমন আশা বা আশঙ্কা কেউ করেননি।

শেয়ার করুন