
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ১০ বছর বয়সী শিশু মোহাম্মদ জিহাদের মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক মোড়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফের শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধন চলাকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। নিহত শিশুর মা ছেনোয়ারা বেগম বলেন, ওসি প্রথমে দুই ঘণ্টার জন্য লাশ নিতে বলেন। পরে ২৪ ঘণ্টা পর লাশ ফেরত দেন। অথচ আমি আদালত থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের অনুমতি এনেছিলাম। তার অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে ওসি টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন পিতৃহীন শিশুর মৃত্যুতে পুলিশের এমন আচরণ অমানবিক ও অপ্রত্যাশিত। থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে, পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্ত ও ওসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, শনিবার বিকেলে নিখোঁজ হয় শিশু জিহাদ। পরদিন রবিবার দুপুরে চরলক্ষ্যা ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি পুকুরে তার মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। শিশুটির মা ছেনোয়ারা বেগম জানান, জিহাদ মৃগীরোগে আক্রান্ত ছিল এবং আর্থিক অভাবে সঠিক চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি।
তবে ওসি মুহাম্মদ শরীফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকার চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকদের অনুরোধে মানবিক কারণে বাড়িতে গিয়েছিলাম। সহযোগিতা করতে গিয়েছিলাম, এটাকে দোষ দেখার কিছু নেই। সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
পূর্বকোণ/নয়ন/জেইউ/পারভেজ