
ভারতের ঝাড়খণ্ড এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ রূপে মধ্যপ্রদেশে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার আবহাওয়ার সবশেষ পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমুদ্র বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশের অনেক জায়গায় কম-বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে।
এছাড়া পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৭১, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৭০, ফেনীতে ৬৫ এবং চট্টগ্রামে ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাজধানী ঢাকাতেও গেল ২৪ ঘণ্টায় ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর ডিমলায়, ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে; ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, এখনো বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে চট্টগ্রামে। আজ সকালে বৃষ্টির কারণে সড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হয় অফিস-আদালতসহ কর্মস্থলমুখী মানুষকে। চট্টগ্রামে আরও কয়েক দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃষ্টির কারণে সকালে সড়কে গাড়ি চলাচল করেছে কম। বিশেষ করে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা দেখা যায় হাতে গোনা। যেসব গাড়ি সড়কে চলাচল করেছে, সেগুলোর চালকেরা বাড়তি ভাড়া দাবি করেন যাত্রীদের কাছে। এতে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিপাকে পড়েন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে অফিসগামী মানুষও।
এছাড়া অমাবস্যার প্রভাবে জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই দিন ধরে চট্টগ্রাম নগরের মোহরা ও আগ্রাবাদের কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কর্ণফুলী ও হালদা নদীর পানি নগরের বিভিন্ন খাল উপচে পড়ায় দুই পাশের এলাকায় তলিয়ে যাচ্ছে। এতে স্থানীয় বসতবাড়ি, দোকানপাট ও রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে আছে।
পূর্বকোণ/এএইচ