চট্টগ্রাম সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

জুলাইয়ে এল ৩০ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স
ফাইল ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩০ বিলিয়ন ডলার

অনলাইন ডেস্ক

২৫ জুলাই, ২০২৫ | ৭:১৩ অপরাহ্ণ

দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ গতকাল বৃহস্পতিবার দিন শেষে ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ৩০ জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসেবে ২৪ দিনের ব্যবধানে মোট রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া গত মাস শেষে বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। এই হিসাব অনুযায়ী গত ২৪ দিনে রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত ৮ জুলাই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) মে ও জুন মাসের আমদানি বাবদ বকেয়া বিল ২০১ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারপর মোট রিজার্ভ কমে হয় ২৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম৬ অনুয়ায়ী রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।

 

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রবাসীরা বৈধ পথে আয় পাঠানো বাড়িয়েছেন। বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ৩০ বিলিয়ন ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও পণ্য রপ্তানিতে বিদায়ী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ৮ শতাংশ।

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎস—প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা বজায় থাকার কারণে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরেছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সরে এসেছে। ১০ মাস ধরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে না। এর মধ্যে দেশের ব্যাংক ও রাজস্ব খাত সংস্কার, বাজেট সহায়তা ও ঋণ হিসেবে কয়েক বিলিয়ন ডলারের ঋণ দেশে আসছে। এর ফলে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

 

এদিকে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং তার বিপরীতে আমদানি কম থাকায় ডলারের চাহিদা কমেছে। সে কারণে টাকার তুলনায় মার্কিন ডলারের দাম কমতে শুরু করেছিল। এই পরিস্থিতিতে চলতি মাসে ডলারের দাম ধরে রাখতে নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট