
আজ বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস। বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০ জন শিশু পানিতে ডুবে প্রাণ হারায়। যাদের অধিকাংশেরই বয়স ১ থেকে ১০ বছর। তাদের পাশাপাশি ইদানিং ঝরনা, লেক ও সমুদ্রে ডুবে তরুণদের মৃত্যুর হারও বেড়েছে। তবে এভাবে মৃত্যুর বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে না।
বাবা-মা-ও তাদের সন্তান হারানোর বেদনায় সান্ত্বনা খোঁজেন নিয়তির ওপর দায় চাপিয়ে। পানিতে ডুবার এই মর্মান্তিক ঘটনাগুলো তাই বিশ্বব্যাপী ‘নীরব মহামারী’ হিসেবেও পরিচিত। এই মহামারীর বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের নেতৃত্বে জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে ২০২১ সালে ২৫ জুলাইকে ‘বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রতি বছরের এই দিনটি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয়, একেকটি ছোট্ট উদ্যোগ বা সচেতনতা ঠেকাতে পারে অনেক শিশু-তরুণের অকাল মৃত্যু।
এবারে দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘একটি গল্প, একটি শিক্ষা সচেতন হই, শিশুকে পানিতে ডুবার হাত থেকে বাঁচাই।’ নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও পরিবর্তনের গল্প অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া থেকে আসে শিক্ষা। সেই শিক্ষাই গড়ে তোলে সচেতনতা, যা অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
দিবসটি উপলক্ষে-‘ড্রাউনিং প্রিভেনশন অ্যালায়েন্স, চট্টগ্রাম’-এর উদ্যোগে আজ সকালে প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে নানা সচেতন কার্যক্রমের বিষয়ে জানানোর পাশাপাশি সাঁতার ও পানিতে সুরক্ষার দক্ষতা-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচিতে অন্তভূর্ক্ত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হবে।
পূর্বকোণ/ইবনুর