চট্টগ্রাম সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

সাতকানিয়ায় দ্বন্দ্ব মিটিয়ে বিএনপিতে ঐক্যের সুর

সাতকানিয়ায় দ্বন্দ্ব মিটিয়ে বিএনপিতে ঐক্যের সুর

ইকবাল মুন্না, সাতকানিয়া

২২ জুলাই, ২০২৫ | ১২:২৫ অপরাহ্ণ

দীর্ঘদিনের বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে এবার ঐক্যের সুর উঠেছে সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপি পরিবারে। এ লক্ষ্যে সোমবার (২১ জুলাই) দীর্ঘ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের গ্রামের বাড়িতে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে যোগ দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এ নিয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা বিএনপি পরিবারের মাঝে বইছে আনন্দের হাওয়া।

 

উপজেলা পর্যায়ের একাধিক বিএনপি নেতা বলেন, স্বৈরাচার আমলে শত মামলা হামলার শিকার হয়েও বিএনপির হাল ধরে রেখেছিলেন মুজিব চেয়ারম্যান। কিন্তু পরবর্তীতে জামাল ভাইকে আহ্বায়ক করে কমিটি ঘোষণা করার পর দুই নেতার মাঝে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আমাদের মনে হয়েছিল এই বিরোধ কখনো নিরসন হবে না। তবে গত কিছুদিন ধরে মুজিব ভাই নিয়মিত বলে যাচ্ছিলেন বিএনপির ঐক্য প্রসঙ্গে। ইতিমধ্যে আমাদের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া বিএনপির মাঝে ঐক্য হয়েছে।

 

আমরা মনে করি, বিএনপির আজকের এই ঐক্য পরবর্তীতে বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর আগে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে গত ১৭ জুলাই ও ২০ জুলাই চট্টগ্রাম শহরে দুই দফা ঐক্য প্রক্রিয়ার বৈঠক করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। এ দুই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ ইদ্রিস মিয়া, সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দীন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, জামাল হোসেন, মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নাজমুল মোস্তফা আমিন, এস এম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরীসহ সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা। পরদিন সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপি নেতাদের নিয়ে ভোজের আয়োজন করেন মুজিব চেয়ারম্যান। তবে এ আয়োজনে লোহাগাড়ার কোন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতি লক্ষ্য করা যায়নি।

 

প্রসঙ্গত: চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আংশিক) আসনটি মূলত জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০০৮ সালে এ আসনে জামায়াত প্রার্থী জয়লাভ করেন। বর্তমানেও এ আসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান রয়েছে। সম্প্রতি রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে জামায়াত ও বিএনপির বিরোধীতা স্পষ্ট আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় জামায়াত থেকে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে বিএনপি।

 

এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান বলেন, এ আসনটিকে মূলত জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা বলা হলেও জামায়াত কখনো এই আসন থেকে এককভাবে জয় লাভ করতে পারেনি। তারা প্রত্যেকবার বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ অবস্থায় জয়লাভ করেছে। আমি মনে করি বিএনপি যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে, আসন্ন নির্বাচনে এ আসনটিতে নিঃসন্দেহে বিএনপি জয়লাভ করবে।

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট