
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহতের পরিবারের সদস্য ও আহতদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকছে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম, বীর প্রতীক।
সোমবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হতাহতদের পরিবারের সদস্য ও আহতদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা রাখা হবে কি না? জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, না, না কোনো কোটা থাকবে না।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের (গণ-অভ্যুত্থানে হতাহত) পুনর্বাসনের কর্মসূচিগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুসারে মন্ত্রণালয় যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এই কার্যক্রমের ভেতরে ফ্ল্যাট দেওয়া বা চাকরির কোটা দেওয়া, এসব বিষয় নেই। পুনর্বাসনের কর্মসূচি আছে, পুনর্বাসন নানানভাবে হতে পারে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে, যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি যেভাবে পুনর্বাসিত হতে চান বা আত্মকর্মসংস্থানের জন্য যদি হাঁস-মুরগি বা পশু পালন করেন, যেভাবে তিনি তার জীবিকা সংস্থান করতে চাইবেন সরকারের পক্ষ থেকে সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফারুক ই আজম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে সঞ্চয়পত্র আকারে ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭৭২ শহীদ পরিবারের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আকারে ৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ক’ শ্রেণির জুলাই যোদ্ধারা পাবেন ৫ লাখ টাকা৷ যার মধ্যে দুই লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে৷ ‘খ’ শ্রেণির জুলাই যোদ্ধারা এককালীন পাবেন ৩ লাখ টাকা৷ এর মধ্যে ১ লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে৷ ‘গ’ শ্রেণির জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন প্রদান করা হবে ১ লাখ টাকা৷ এর মধ্যে ১ লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে৷ এ ছাড়া প্রত্যেক শহীদ পরিবার ২০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা পাবেন।
পূর্বকোণ/ইবনুর