চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

কক্সবাজারে গণমিছিলে স্ট্রোকে বিএনপি নেতার মৃত্যু
কক্সবাজার উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ নূর (৬৫)

কক্সবাজারে গণমিছিলে বিএনপি নেতার স্ট্রোকে মৃত্যু

কক্সবাজার সংবাদদাতা

২০ জুলাই, ২০২৫ | ৭:৫৯ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারে জেলা বিএনপির গণমিছিল ও পথসভায় অংশ নিয়ে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ নূর (৬৫)।

 

রবিবার (২০ জুলাই) বিকেলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, যা জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে।

 

দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত প্রবীণ এই নেতা এদিন বিকেলে নিজের সহযোদ্ধাদের নিয়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত গণমিছিল ও পথসভায় অংশ নেন। সেখানে তিনি বক্তব্যও রাখেন। এরপর গণমিছিলে ব্যানার হাতে সম্মুখ সারীতে থাকা অবস্থায় সৈয়দ নূর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

 

সৈয়দ নূরের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে উপস্থিত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন, তৈরি হয় এক শোকাবহ পরিবেশ। বিএনপির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান কাজল বলেন, তার মৃত্যুতে বিএনপির অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল, আমারও ক্ষতি হলো। তিনি দলের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।

 

একই মিছিলে অংশ নেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কক্সবাজার শহর যুবদলের যুগ্মসম্পাদক জয়নাল আবেদিন, যিনি বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যুবদল নেতা খোরশেদ আলম জানান, পূর্বনির্ধারিত জেলা বিএনপির গণমিছিলের কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়ার পরে তিনি গণমিছিলে অংশগ্রহণ করার সময়ে এই ঘটনা ঘটে।

 

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মাবুদ চৌধুরী বলেন, সৈয়দ নূর ছিলেন দলের দুঃসময়ের একজন নিবেদিতপ্রাণ কাণ্ডারি, যার শূন্যতা পূরণ করা কঠিন।

 

মাবুদ আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, সৈয়দ নূর ভাই দীর্ঘদিন ধরে আমার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তিনি ছিলেন বিএনপির দুঃসময়ের একজন কাণ্ডারি, যার বিকল্প তিনি নিজেই।

 

তিনি আরও যোগ করেন, বর্তমানে একজন নিবেদিত ও পরিচ্ছন্ন বিএনপি নেতা খুঁজে পাওয়া কঠিন, কিন্তু সৈয়দ নূর ছিলেন সেই পরিচ্ছন্ন নেতার এক জ্বলন্ত প্রমাণ। তার আকস্মিক বিদায়কে ‘কঠিন দুঃসংবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করে আব্দুল মাবুদ চৌধুরী জানান, সৈয়দ নূর মৃত্যুকালে দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। তার এক ছেলের জন্য বিয়ের কথাবার্তাও চলছিল, কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই তিনি চলে গেলেন। সৈয়দ নূরের এই অকাল প্রয়াণ কক্সবাজারের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

 

সৈয়দ নূরের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি পিএমখালীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেখানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।

 

 

পূর্বকোণ/এরফান/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট