চট্টগ্রাম সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

বাঁশখালীতে এনসিপি নেতার ওপর হামলার অভিযোগ বিএনপির বিরুদ্ধে
হামলায় আহত তানভীর কাদের সিকদার

বাঁশখালীতে এনসিপি নেতার ওপর হামলার অভিযোগ বিএনপির বিরুদ্ধে

অনলাইন ডেস্ক

২০ জুলাই, ২০২৫ | ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জুলাই পদযাত্রার প্রচারণা চলাকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক সংগঠকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাঁশখালী থানার দক্ষিণ পাশে ফরহাদ-নোমান ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

 

মারধরে এনসিপির বাঁশখালীর সংগঠক তানভীর কাদের সিকদার (২৩) আহত হয়েছেন। তানভীর উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফজলুল কাদের সিকদারের ছেলে।

 

স্থানীয়রা জানায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দেন। এ বক্তব্যের জের ধরে শনিবার রাতে বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ার বাজার থেকে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল বের করে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

 

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হক বলেন, বাঁশখালী উপজেলায় জুলাই পদযাত্রার প্রচারণা চালানো হচ্ছিল। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাঁশখালী পৌরসভা এলাকায় গিয়ে ব্যানার কেড়ে নেন। প্রতিবাদ করলে সংগঠক তানভীর কাদের সিকদারকে মারধর করেন।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহত তানভির কাদের সিকদার বলেন, জুলাই পদযাত্রা উপলক্ষে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। এ সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীর অনুসারীরা এসে ব্যানার কেড়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেন। তারা আমার মাথায় আঘাত করেন। এতে আমার মাথা ফেটে গেছে।

 

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী হামলা ও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। আমার কোনও নেতাকর্মী হামলা কিংবা মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। এই বিষয়টি আমি শুনি নাই।’ তবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল করে যার যার বাড়িতে চলে গেছেন। কেউ যদি হামলার কথা বলে থাকে, এটি মিথ্যাচার।’

 

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি শুনেছি। তবে মাথা ফাটানো ও ব্যানারে আগুন দেওয়ার বিষয়ে আমি জানি না। বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।’

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট