
টেকনাফে অপহরণের ১০ ঘণ্টা পর দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন পাপেল চাকমা নামে এক যুবক।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের সোনালী ব্যাংক ঢালা এলাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস।
পাপেল চাকমা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হরিখোলা চাকমা পাড়ার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত চন্দ্রমনি চাকমা। টেকনাফে অটোরিকশা চালিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।
পরিবার ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে পাপেল অটোরিকশা নিয়ে শামলাপুর স্টেশনে যাচ্ছিলেন ভাড়ার সিরিয়াল দিতে। পথে হোয়াইক্যং-শামলাপুর পাহাড়ি ঢালা রাস্তায় সোনালী ব্যাংক নামক স্থানে পৌঁছালে হঠাৎ পাহাড় থেকে অস্ত্রধারী একদল লোক নেমে এসে তার গাড়ি থামিয়ে তাকে অপহরণ করে। ঘটনার পরপরই বিষয়টি পুলিশকে জানায় তার পরিবার। পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। এ সময় অপহরণকারীরা পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে প্রথমে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে দর-কষাকষির পর দেড় লাখ টাকায় মুক্তি দিতে রাজি হয় তারা।
পরিবার জানায়, অপহরণকারীদের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট এক পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে মুক্তিপণের টাকা দেওয়া হয়। এরপর বিকেলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর পুলিশ তাকে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। অপহরণে জড়িতদের পরিচয় চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। মুক্তিপণ লেনদেনের বিষয়টি আমরা অবহিত নই।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ