সারাবছর যেসব ফল কমবেশি সবারই খাওয়া হয় সেসবের মধ্যে রয়েছে আনার। লাল টুকটুকে আনার কেবল খেতেই মজা এমন নয়, বরং এ ফল পুষ্টি উপাদানেও ঠাসা। আসুন জেনে নিই আনারের নানা পুষ্টিগুণ। যা আমাদের শরীর, ত্বক, চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে থাকে।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়ায়: শরীরের কোষগুলোকে ফ্রি রেডিক্যালের ড্যামেজ থেকে বাঁচায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আনারের রসে আছে বিভিন্ন পলিফেনোলিক কম্পাউন্ডস, যেমন-পিউনিকালাজিনস, এনথোসায়ানিনস ও হাইড্রোলাইজেবল ট্যানিনস। যেগুলো পাওয়ারফুল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। এগুলো শরীরকে ফ্রি রেডিক্যাল হতে রক্ষা করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পলিফেনোলিক কম্পাউন্ডস মূলত বয়স হওয়ার প্রক্রিয়ার গতিকে কমিয়ে দেয়। তাই বয়স ধরে রাখতে অনেকেই নিয়ম মেনে আনার খেয়ে থাকেন।

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য: ত্বকের দীপ্তি, উজ্জ্বলতা এবং তারুণ্য ধরে রাখতে কে না চায়। আর এসব কিছুই পাওয়া সম্ভব ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন পর্যাপ্ত হলেই। কোলাজেন এমন একটি উপাদান যা ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত রাখতে সাহায্য করে। আনারের রস কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক হয় সুন্দর ও দীপ্তিময়। এছাড়া এ উপাদান ত্বককে ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকেও রক্ষা করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: ওজন কমাতেও আনারের রসের জুড়ি মেলা ভার। লো ক্যালরি ও হাই ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফল ওজনের লাগাম ধরতে সাহায্য করে। মূলত এ ফল বারবার ক্ষুধা লাগার অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার আগ্রহকে দমিয়ে ফেলে। তাই ডায়েটে আনারের জুস রাখতে পারেন নিয়মিত।

জ্বালাপোড়া কমায়: আনারের রসে থাকা পলিফেনোলিক কম্পাউন্ডস শরীরে নানা রকম জ্বালাপোড়াকে প্রতিহত করতে সক্ষম।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়: আনারে ভিটামিন সি এর পরিমাণ অনেক বেশি। আয়রণ শোষণের ক্ষমতা রয়েছে ভিটামিন সি এর। তাই আনার খেলে শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকে এবং অ্যানিমিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: পর্যাপ্ত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় আনারের জুস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

হজমে সাহায্য করে: আনারে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজমশক্তি বাড়াতে কাজ করে। তাছাড়া এটি গাটে (পরিপাকতন্ত্র) উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে গাটকে ভালো রাখে।

পূর্বকোণ/ইবনুর