চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

অপহরণের ১২ দিন পর মানিকছড়িতে মাদ্রাসাছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
মাদ্রাসাছাত্র মো. সোহেল (১৪)

অপহরণের ১২ দিন পর মানিকছড়িতে মাদ্রাসাছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মানিকছড়ি সংবাদদাতা

১৬ জুলাই, ২০২৫ | ৭:৫৮ অপরাহ্ণ

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বুদংপাড়া থেকে অপহরণের ১২ দিন পর হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মাদ্রাসাছাত্র মো. সোহেলের (১৪) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথটহল দল।

 

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের ছদুরখীল ওয়ার্ডের দুর্গম বুদংপাড়া এলাকার একটি ছড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

 

নিহত সোহেল ছদুরখীল এলাকার বাসিন্দা আবদুল রহিমের বড় মেয়ে রাবেয়া আক্তার ও আবদুল জলিল দম্পতির একমাত্র ছেলে এবং গোরখানায় প্রতিষ্ঠিত শাহানশাহ হক ভান্ডারী সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্র।

 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরের পর বুদংপাড়ায় জমিতে কাজ করতে গিয়ে জমির পাশের ছড়ায় লাশটি দেখতে পায় স্থানীয় কৃষক অংগ্যজাই মারমা। পরে পলিশে খবর দিলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথটহল দল হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে।

 

এর আগে, গত ৪ জুলাই রাতে মানিকছড়ি উপজেলাধীন ২ নম্বর বাটনাতলী ইউনিয়নের ছদুরখীল এলাকায় নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মো. সোহেল (১৪) নিখোঁজ হয়। পরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সোহেলের নানার নাম্বারে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনার পর গত ১১ জুলাই মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ ও সহায়তা করার অপরাধে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সোহেলের নানা আবদুর রহিম প্রকাশ গফুর আনসার অপহরণ মামলা দায়ের করলে প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করে যৌথবাহিনী।

 

আটকরা হলেন- কসমকার্বারি পাড়ার সম্বু কুমার ত্রিপুরা (৩৬), এবং গোরখানা এলাকার মো. মাঈন উদ্দিন (২১) ও মো. ইয়াছিন মিয়া (২৮)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা অপহরণের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলেও অপহৃতের সন্ধান দিতে পারেনি। শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যথাযথ আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

 

পূর্বকোণ/রবিউল/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট