
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা–সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভেড়ারবাজার এলাকার আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (১৮), থানার পাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২২) এবং শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫)।
বুধবার বিকালে গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিকালে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তারা গুলিবিদ্ধ ছিলেন। আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের অস্ত্রোপচার চলছে।
ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অনেকে চিকিৎসা নিলেও তাদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় এ কথা জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, আজ বুধবার রাত ৮টা থেকে পরবর্তী দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া অস্থিরতা ও সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারফিউ চলাকালীন সময়ে জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকবে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।
এর আগে গোপালগঞ্জে সভা শেষে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ