
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে গভীর রাতে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে আব্দুর শুক্কুর ও মোহাম্মদ আলতাজ মিয়া নামে দুইজন অবৈধ বালু উত্তোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত ২টা থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দিন।
গ্রেপ্তারদের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ১৫ ধারায় অভিযুক্ত করে মোবাইল কোর্ট আব্দুর শুক্কুরকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং মো. আলতাজ মিয়াকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে। আব্দুর শুক্কুর ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মালুম্যা এলাকার চান মিয়ার ছেলে এবং মো. আলতাজ মিয়া একই ইউনিয়নের বগাইছড়ি এলাকার মৃত মোস্তাক মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, এখনো আওয়ামী লীগের দলীয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন এ পরিবেশ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তাররা ছাড়াও উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা মহরম আলী, ছাত্রলীগ নেতা শাহারিয়ার, যুবলীগ নেতা আলা উদ্দিন, আব্দুস শক্কুর, রমজান আলী, আবুল হোসেন, জসিম ড্রাইভার, কালুসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বেপরোয়া বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এই উপজেলায় সরকারিভাবে কোনো বালুমহাল নেই। কিন্তু থেমে নেই অবৈধ বালু উত্তোলন। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বাগাইছড়ি খাল থেকে ১৫/২০টি শ্যালো মেশিন দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসাইন মামুন বলেন, আগে শুধু আওয়ামী লীগের লোকজন অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল, আর এখন বিএনপি আওয়ামী লীগ মিলে এ অবৈধ বালু উত্তোলন করে। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে বাগাইছড়ি খালের ওপর র্নিমিত বেইলি সেতু ভেঙে কিছুই নাই। বগাইছড়ি ব্রিজ যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করি। আটক দুইজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। লামায় নির্বিচারে পাহাড় কাটা, পাথর ও বালু উত্তোলনে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
পূর্বকোণ/রফিক/জেইউ/পারভেজ