
পবিত্র আশুরাকে সামনে রেখে গত সপ্তাহে হুট করে মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ২০ টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মুরগির খামারি আর ব্যবসায়ীরা। এখন আশুরা শেষ হওয়ার পাঁচদিন পেরিয়ে গেলোও সেই দাম আর কমাননি তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবারও বাজারে বেশি চাহিদা থাকা ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ১৫০-১৬০ টাকায়। গতকাল চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট ও কর্ণফুলী কমপ্লেক্স বাজার ঘুরে মুরগির দামের এই চিত্র পাওয়া গেছে। সেখানে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহে যেখানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা হয়েছিল ১৩০-১৪০ টাকা সেখানে গত এক সপ্তাহ ধরে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা বেশি দামে। ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়লেও অবশ্য অন্যান্য জাতের মুরগির দাম প্রায় অপরিবর্তিত আছে। দেশি ৬০০, সোনালী মুরগির ডিমের দাম আগের মতোই আছে প্রতি ডজন ১২০-১২৫ টাকা।
জানতে চাইলে কর্ণফুলী কমপ্লেক্স বাজারের ইফাজ-ইফরান পোল্ট্রি ফার্মের মালিক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আশুরা উপলক্ষে গত সপ্তাহের শুরুতে খামারিরা ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। আশুরা শেষ হলেও তারা দাম কমাননি। সেজন্য বেশি দামে কিনতে হওয়ায় বেশি দামেই আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে।
মুরগির দাম কমতে পারে এমন প্রশ্নে একই বাজারের বাচ্চু পোল্ট্রির মালিক বাচ্চু মিয়া বলেন, এখনো বুঝা যাচ্ছে না। খামারে কমলে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারবো।
তবে অন্যান্য পণ্যের দাম আগের মতো আছে। পেঁয়াজ ৫৫-৬০, রসুন ১৪০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়েক রকম সবজির দাম কিছুটা কমেছে, বাকিগুলোর দাম অপরিবর্তিত আছে। আলু ২৫, কাঁকরোল ৮০, বরবটি ৫০-৬০, ঢেঁড়শ ৫০-৬০, মরিচ ৬০-৭০, বেগুন ৬০-৭০, পটল ৪০-৫০, মরিচ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের দামও অপরিবর্তিত আছে, চিংড়ি প্রকারভেদে ৭০০-১২০০ টাকা, জীবন্ত রুই-কাতলা ৪০০-৪৮০, তেলাপিয়া ২০০-২২০, ইলিশ আকারভেদে ১৬৫০-২৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, কোরবানের পর থেকে অস্থির চালের বাজার এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
মুরগি-চালের সংকট না থাকার পরও দাম বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষাকারী সংগঠন ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের কারসাজিতে চাল-মুরগির দাম বেড়েছে। প্রশাসনের উচিত বাজারের দিকে মনোনিবেশ করা। কার্যকর তদারকি কার্যক্রম না চালালে দাম কমবে না।
পূর্বকোণ/ইবনুর