
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাদকের কারবার নিয়ে সোমবার রাতে তুমুল ঝগড়ার একপর্যায়ে ব্যাপক মারামারি হয় কয়েকজনের মধ্যে। এর জের ধরে প্রতিশোধ নিতে গিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে পর পর দুই ভাইকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় মাদককারবারি দলের এক সদস্য।
এতে বাড়ির ভেতরই ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাতে খুন হন ছোট ভাই। আহত হন তার বড় ভাইও। স্থানীয় লোকজন দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সন্ধ্যার আগে উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ছনুয়া পাড়ার সাইফুল ইসলামের বাড়িতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতে খুন হন মো. আবদুর রশিদ (১৭)। তিনি ওই পাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে। এ সময় গুরুতর আহত হন আবদুর রশিদের বড় ভাই মো. তজুম উদ্দিন প্রকাশ বাদশা (২৩)।
স্থানীয়রা জানান, বদরখালীর পশ্চিম ছনুয়া পাড়ায় বেশ কয়েকজনের একটি মাদক কারবারি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে দীর্ঘদিন ধরে। তারা এলাকায় হরেক রকমের মাদকের বিকিকিনি করে আসছিল। সেই মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে গতকাল সোমবার রাতে তুমুল ঝগড়া ও মারামারি হয় একইদলের সদস্যদের মধ্যে। এ সময় আবদুর রশিদ বেধড়ক পিটুনি দেয় মাদক কারবারি জুনাইদুল ইসলাম প্রকাশ সায়েমকে। এর জের ধরে জুনাইদুল আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে আবদুর রশিদকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে বাড়িতে গিয়ে দরজায় ঠোকা দিতেই বের হন তজুম উদ্দিন প্রকাশ বাদশা। এ সময় তাকে ছুরিকাঘাত করে বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে জুনাইদুল। সেখানে ঘুমন্ত অবস্থায় আবদুর রশিদকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় জুনাইদুল। ঘটনায় জড়িত জুনাইদুল ইসলাম একই এলাকার জাফর আহমদের ছেলে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মাদকের কারবার নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে শোনা যাচ্ছে। তবে প্রকৃত বিরোধ কী ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় জড়িত খুনিকে আটক করতে পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে। নিহতের লাশ হেফাজতে নিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। একইসাথে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা রুজুসহ পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ