
চন্দনাইশ উপজেলার ৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম প্রান্তিক পরীক্ষা ১২ মে (সোমবার) শুরু হয়। পরীক্ষার প্রশ্ন পত্রে ভুল-ভ্রান্তি এবং কিছু প্রশ্ন দেরিতে সরবরাহ করায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম ইংরেজি পরীক্ষা যেন হ-য-ব-র-ল অবস্থা।
জানা যায়, সোমবার ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুলে ভরা। ১ম শ্রেণির প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নে উত্তর লেখার জায়গা সংকীর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। প্রতিটি পরীক্ষা ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারিত থাকলেও ২য় শ্রেণির পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সময় উল্লেখ রয়েছে ২ ঘন্টা। অথচ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ছোট হাতের বর্ণমালার জন্য নম্বর বণ্টন করা হয়েছে ২৬। ৩য় শ্রেণিতে ইংরেজিতে শব্দার্থে মিলকরণে যথাযথ শব্দ ব্যবহার না করায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। ৫ম শ্রেণিতে প্রথমে ৬০ নম্বরের প্রশ্ন সরবরাহের পর কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত প্রশ্নের যথাযথ নম্বর বণ্টন না থাকায় গতকাল সোমবার পরীক্ষার দিন সকালে পুনরায় নতুন সেটের প্রশ্ন দেয়া হয়। ৯১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে অনেকে সঠিক সময়ে ৫ম শ্রেণির প্রশ্নপত্র পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেছেন, ভুল-ভ্রান্তিগুলো প্রিন্টিং মিস্টেক। গত ৮ মে প্রশ্নপত্র প্রতিটি বিদ্যালয়ে সরবরাহ করা হয়েছে। ৫ম শ্রেণির প্রশ্নপত্রের ভুল ধরতে পেরে পুনরায় প্রশ্ন ছাপিয়ে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার মধ্যে শিক্ষকদের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে। তবে প্রশ্নপত্র গাছবাড়িয়া সরকারি মডেল স্কুল থেকে তিনি নিজে প্রশ্ন বণ্টন করেছেন বলে জানান।
স্থানীয় অভিভাবকরা এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রশ্ন প্রণয়ন কমিটির অবহেলা এবং অদক্ষতার কারণে এ ধরনের ভুল-ভ্রান্তি হয়েছে। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এর দায়ভার কে নেবে ? এ প্রশ্ন অভিভাবকদের। অথচ প্রশ্নপত্র ১ম ও ২য় শ্রেণি প্রতি সেট ৮ টাকা, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম শ্রেণির প্রতি সেট ১২ টাকা করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের স্লিপের বরাদ্দ থেকে ব্যয় করেছেন বলে জানা যায়।
পূর্বকোণ/দেলোয়ার/আরআর/পারভেজ