
চট্টগ্রামে রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে এসব ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ কমিশনার মাহমুদা বেগম বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর হয়েছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে চকবাজার থানায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রামে মিছিল ও সমাবেশ হয়।
পুলিশ জানায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনের গাঁজা এলাকায় বর্বর বোমা হামলার প্রতিবাদে ৬০০-৭০০ জনের একটি প্রতিবাদ মিছিল জামালখান মোড় হতে চট্টগ্রাম কলেজ রোড হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আসার পথে মিছিলের ভিতর থেকে কতিপয় দুষ্কৃতকারী অত্যাবশ্যকীয় পণ্য/দ্রব্যের উৎপাদন, বণ্ঠন ও সরবরাহ কাজে ব্যাঘাতসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন করার উদ্দেশ্যে চকবাজার থানাধীন কলেজ রোডস্থ প্যারেড কর্নারের বিপরীতে এলান রেস্টুরেন্ট নামক একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের গ্লাস ও রেস্টুরেন্টের শো-কেসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
পুলিশ আরও জানায়, চকবাজার থানাধীন গুলজার মোড়ে উপস্থিত হলে মিছিলে অংশগ্রহণকারী বৃহদাংশ মিছিলটি সমাপ্ত ঘোষণা করলেও ৮০-১০০ জনের খণ্ডিত অংশ গুলজার মোড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করার অপচেষ্টা করে। তখন চকবাজার থানা পুলিশ মিছিলে অংশগ্রহণকারী একটি বড় অংশের সহযোগিতায় উক্ত কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া করলে তারা একত্রে দৌড়ে চট্টেশ্বরী রোডস্থ সিজিএস মোড়ের দিকে অগ্রসর হয়ে সর্বশেষ সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় চট্টেশ্বরী সিজিএস মোড়ে সিটি সেন্টারের ফুডস কর্নার নামক একটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত কোমল পানীয় পেপসি, কোকাকোলা রাস্তার উপর আচড়ে ফেলে ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে। এ সময় একজনকে পুলিশ হেফাজতে নিলে অন্যান্য অজ্ঞাতনামা ৮০-১০০ দুষ্কৃতকারী দিকবিদিক দৌড়ে পালিয়ে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে ১৭ বছর বয়সী এক শিশু স্বীকার করে যে, সে ও অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা উক্ত ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে, দুষ্কৃতকারীদের চলমান মিছিল থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইনবোর্ড, কাঁচের গ্লাস ভেঙে কয়েকটি দোকানের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চকবাজার থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ