চট্টগ্রাম শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫

সর্বশেষ:

লাইলাতুল ক্বদর নাজাত দশকের বেজোড় রাতেই এসে থাকে

রায়হান আজাদ

২৬ মার্চ, ২০২৫ | ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

মহিমান্বিত লাইলাতুল ক্বদর পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতেই এসে থাকে। হাদিস শরীফে এ রাতটি ঠিক কখন তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। এরও একটি গভীর তাৎপর্য রয়েছে। তা হচ্ছে, উম্মতে মুহাম্মদী যেন বরকতময় রমজানের শেষ দশ দিনই লাইলাতুল ক্বদর খুঁজতে গিয়ে অত্যধিক ইবাদতে মশগুল থেকে কামিয়াবি হাছিল করতে পারে।

 

বুখারী শরীফে হজরত আয়েশা রদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত আছে যে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমাইয়েছেন, “পবিত্র রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাত্রে তোমরা লাইলাতুল ক্বদরের তালাশ করবে।”

 

অনুরূপভাবে মুসলিম শরীফে রেওয়ায়েত হয়েছে, “হজরত আয়েশা রদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের শেষ দশকের ইবাদতে যত অধিক পরিশ্রম করতেন তত পরিশ্রম আর কখনো করতেন না।” এ বর্ণনা থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে নবীজী রমজানের শেষ দশকে নিজে অত্যধিক পরিশ্রম করে লাইলাতুল ক্বদর সন্ধানের মাধ্যমে তার উম্মতের জন্য অনুপম শিক্ষা রেখে যান।

 

হজরত আবু বকর রদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,“ আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে “ রমজানের শেষের ৯, ৭, ৫, ৩ অথবা শেষ রাত্রি বাকী থাকতে তোমরা লাইলাতুল ক্বদর সন্ধান কর। ”- তিরমিজী শরীফ।

 

হজরত উবাদা বিন সামিত রদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “একদা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে লাইলাতুল ক্বদরের খবর দেয়ার জন্য বের হলেন এমন সময় দুইজন মুসলমান কলহ আরম্ভ করল।

 

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “আমি তোমাদেরকে লাইলাতুল ক্বদরের খবর দেয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। কিন্তু অমুক অমুক কলহে লিপ্ত হল, ফলে আমিও ভুলে গেলাম। সম্ভবত এটা আমাদের জন্য মঙ্গল হয়েছে। সুতরাং তোমরা ২৯, ২৭ ও ২৫ রাত্রিতে লাইলাতুল ক্বদর সন্ধান করবে।”- (সহীহ আল বুখারী)।

 

যাই হোক, ফয়জ-বরকত হাছিলের জন্য আমাদেরকে রমজানের শেষ দশকে ইবাদতের জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়তে হবে। মাগফিরাত ও নাজাত লাভে ব্রতী হতে হবে। অত্যধিক পরিশ্রম করে সৌভাগ্যবানদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। আয় আল্লাহ ! তুমি আমাদেরকে অন্ততপক্ষে জীবনে একবার হলেও লাইলাতুল ক্বদর বখশিশ করুন। আমীন।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট