চট্টগ্রাম শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

সর্বশেষ:

শ্রমিকদের বেতন-বোনাসে ২০০০ কোটি টাকা ছাড়

অনলাইন ডেস্ক

১৪ মার্চ, ২০২৫ | ২:২৮ অপরাহ্ণ

ঈদুল ফিতরের আগে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করতে সরকার রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোকে নগদ প্রণোদনা হিসেবে ২০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে ১০০০ কোটি টাকা ১৩ মার্চ এবং বাকি ১০০০ কোটি টাকা ৫ মার্চ ছাড় করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগ এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ঈদের আগে শ্রমিকদের সময়মতো বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করতে তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন।

 

সরকার ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যে, এই প্রণোদনা অর্থ পূর্বের ঋণ পরিশোধের জন্য সমন্বয় করা যাবে না। কারণ এই প্রণোদনা কেবল শ্রমিকদের বর্তমান বেতন পরিশোধের জন্য।

 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সচিবালয়ে তিনটি পৃথক বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

শ্রম মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ব্যাংকগুলো যেন নগদ প্রণোদনা দিয়ে ঋণ সমন্বয় না করে। এবার প্রথম অগ্রাধিকার হবে কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা, তারপর ঋণ সমন্বয় করা যাবে।’

 

এই নগদ প্রণোদনা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য রপ্তানি খাতে বরাদ্দকৃত রপ্তানি প্রণোদনার তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তি।

 

মহাহিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় শীঘ্রই এ বিষয়ে ডেবিট কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করবে এবং সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকদের অর্থ প্রদানের সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী প্রণোদনা প্রদান করবে।

 

বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা (বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক করেছি। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, শ্রম মন্ত্রণালয়, কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ব্যাংকগুলোকে এই নগদ প্রণোদনা দিয়ে ঋণ সমন্বয় না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।’

 

তিনি আরও জানান, ঈদের ছুটির আগে অতিরিক্ত ২০০০ কোটি টাকা ছাড়ের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

 

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটির আগে প্রায় ২০টি পোশাক কারখানায় অস্থিরতার আশঙ্কা রয়েছে। কারখানা মালিকদের তাদের রপ্তানি নথি জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে যাতে সরকার শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলোকে আগাম কিছু অর্থ ছাড়ের নির্দেশ দিতে পারে।

 

এই মাসে কারখানাগুলোকে গত মাসের বেতন, ঈদ বোনাস এবং মার্চ মাসের অর্ধেক বেতন শ্রমিকদের পরিশোধ করতে হবে।

 

উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে ঈদুল ফিতরের আগে বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধ নিয়ে প্রায় ৫০০টি পোশাক কারখানায় অস্থিরতার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।

 

প্রতিবেদনে ৩৬টি কারখানাকে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ছুটির আগে সময়মতো অর্থ প্রদান নিশ্চিত করতে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

৪ মার্চ বিকেএমইএ অর্থ বিভাগকে ঈদুল ফিতরের আগে রপ্তানির জন্য ৭,০০০ কোটি টাকা বকেয়া নগদ সহায়তা ছাড়ের অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল।

 

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট