টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন আগেই, ২০২১ সালের জুলাই মাসে। তুমুল আলোচিত সেই অবসর। কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, হারারে টেস্টের মাঝপথে মাহমুদউল্লাহকে সতীর্থদের গার্ড অব অনার দিতে দেখে সবাইকে যা অনুমান করে নিতে হয়েছে। এরপর অনেক দিন মাহমুদউল্লাহ কিছু বলেননি। সেই অবসর নিয়ে রীতিমতো একটা রহস্যের জন্ম হয়েছিল।
টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নিতে এমন কোনো নাটকীয়তার আশ্রয় নেননি মাহমুদউল্লাহ। আনুষ্ঠানিকভাবেই বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি খেলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন মাহমুদউল্লাহ
আজ বুধবার (১২ মার্চ) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি অবসন নিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফেসবুকে এই ঘোষণো দেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ লিখেছেন, ‘সকল প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহর জন্য। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাকে সবসময় সমর্থন করেছেন।’
‘আমার বাবা-মা, আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, বিশেষ করে আমার শ্বশুর এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার ভাই এমদাদ উল্লাহকে অনেক ধন্যবাদ, যিনি ছোটবেলা থেকেই আমার কোচ এবং পরামর্শদাতা হিসেবে আমার পাশে থেকেছেন। এবং পরিশেষে আমার স্ত্রী এবং সন্তানদের ধন্যবাদ, যারা কঠিন সময়ে আমার পাশে থেকেছেন। আমি জানি লাল-সবুজ জার্সিতে রাইদ আমাকে মিস করবে।’
শেষে মাহমুদউল্লাহ লিখেছেন, ‘সবকিছু নিখুঁতভাবে শেষ হয় না, তবে তুমি হ্যাঁ বলো এবং এগিয়ে যাও। শান্তি……….. আলহামদুলিল্লাহ। আমার দল এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য শুভকামনা।’
২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক মাহমুদউল্লাহর। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৪১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ১১৭.৩৮ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২৪৪৪, গড় ২৩.৫০।
২০০৭ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। খেলেছেন ২৩৯ ওডিআই। ৭৭.৬৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৫৬৮৯, গড় ৩৬.৪৬।
২০০৯ সালে অভিষেক হয় টেস্টে। খেলেছেন ৫০টি ম্যাচ। ৫৩.৪০ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২৯১৪, ৩৩.৪৯।
পূর্বকোণ/জেইউ