সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইষ ইউনিয়নে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত হাজী মকলেসুর রহমানের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর নায়েক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু তাহের।
যুদ্ধকালীন স্মৃতিচারণে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মার্চ মাসে আমি যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করি। এক নম্বর সেক্টর কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রাঙামাটি জেলার মাইনি এলাকায় ডিনামাইট (বিস্ফোরক) স্থাপনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে যুদ্ধের জন্য নিজেকে তৈরি করি। আমার দায়িত্ব ছিল পাকিস্তানি আর্মির যাতায়াতের পথ ধ্বংস করে দেওয়া। প্রশিক্ষণ শেষে পাক হানাদারদের যাতায়াতের পথ বিস্ফোরক স্থাপন করে ধ্বংস করেছি।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে আমরা ফটিকছড়ি উপজেলার আমবাগান নামক স্থানে অবস্থান নিই। সেখানে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাক-বাহিনী আমাদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। তখন আমরা পাল্টাগুলি এবং বোমা নিক্ষেপ করি। টানা ৩ দিন যুদ্ধ হয়। আমরা পাকিস্তান বাহিনীকে সেখান পিছু হটিয়ে আমরা ফটিকছড়ি হানাদার মুক্ত করি। টানা এই যুদ্ধে আমাদের বহু যোদ্ধা হতাহত হন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগুলো যেন চোখের সামনে দেখতে দেখতেই সময় কেটে যাচ্ছে।
আমার দু’কন্যা এবং একজন ছেলে সন্তান রয়েছে। আমার সহধর্মিনী অসুস্থ, দীর্ঘদিন ধরে আমিও অসুস্থ। অনেক বেশি অর্থ চিকিৎসার পিছনে ব্যয় হয়। যে পরিমাণ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাই, সেটা দিয়ে পরিবার ও চিকিৎসা খরচ চালানো কষ্টকর।
পূর্বকোণ/ইব