চট্টগ্রাম সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

এবার ভাণ্ডারী মুলায় ব্যবসায়ীরা হতাশ

এস.এম মোরশেদ মুন্না, নাজিরহাট

২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১২:৩৪ অপরাহ্ণ

ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডারে হযরত কেবলার ওরশে বিক্রি করতে আসা ভাণ্ডারী মুলার ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুণতে হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা মুলা বিক্রি না হওয়ায় কেউ কেউ দোকান ফেলে পালিয়েছে, কেউ ফেলানোর বিরক্তে বিনামূল্যে দিয়েছে আর কেউবা নামমাত্র মূল্যে যতটুকু সম্ভব বিক্রি করেছে।

 

বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ী আব্দুল আলাল জানান, ২৩ জানুয়ারি যে মুলা ১০০ টাকা বিক্রি করেছি তা আজ (২৪ জানুয়ারি) ১০ টাকায় বিক্রি করছি। তাও কেউ নিতে চাচ্ছে না। আমার কমপক্ষে দেড় লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এদিকে সন্ধ্যার আগে দরবারের প্রধান সড়কের পাশে মূলার স্তূপ থাকলেও বিক্রেতা দেখা যায়নি।

 

জানে আলম জানান, চলতি বছর উৎপাদন বেশি হওয়ায় বিক্রেতা বেড়েছে। দাম ধরে বিক্রির আশা করতে গিয়ে দিনশেষে লোকসান গুণতে হচ্ছে।

 

দরবারের প্রধান ফটকে ডেকে ডেকে বিনামূল্যে মুলা দিতে দেখা গেছে হালিম নামের এক ব্যবসায়ীকে, কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান- যা অবস্থা দেখছি তাতে শেষ পর্যন্ত এতগুলো মুলা আমাকে কাঁধে করে ফেলতে হবে তাই বিনামূল্যে দিচ্ছি। চলতি বছর মুলার চাহিদা কম ছিল কিন্তু উৎপাদন বেশি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

 

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১০মাঘ মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের হযরত আহমদ উল্লাহ প্রকাশ হযরত কেবলার ওরশকে সামনে নিয়ে ভাণ্ডারী মুলা ক্ষেতে ফলানো হয়। ওরশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের কাছে এ মুলার বেশ কদর রয়েছে। চলতি বছর মুলার উৎপাদন বেশি হলেও চাহিদা কম ছিল। তাছাড়া অতিরিক্ত লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা প্রথমদিকে মুলা ছেড়ে না দেওয়ার কারণে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুণতে হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট