চট্টগ্রাম রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫

সিডিএ’র ১৩ প্রকল্পের ‘অনিয়ম-দুর্নীতি’ নিয়ে তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:১০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ১৩ প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে কার্যক্রম শুরু করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি। শনিবার (১১ জানুয়ারি) তদন্ত কমিটির সদস্যরা সিডিএর সম্মেলন কক্ষে প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।

 

সিডিএ সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১৩টি প্রকল্পের পরিচালকদের সঙ্গে প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন কমিটির প্রধান মো. কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ সময় প্রকল্পগুলোর কী কী কাজ হয়েছে এবং কী কী কাজ হয়নি, কেন হয়নি তা জানাতে বলেন কমিটির সদস্যরা।

 

এ ছাড়া প্রকল্প নেওয়ার কারণ, কার বা কাদের চাপে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, কীভাবে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়- এসব বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান কমিটির সদস্যরা। মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে কমিটিকে দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এই তদন্ত কমিটি প্রয়োজনে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মতামত নিতে পারবে।

 

তদন্ত কমিটির প্রধান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। প্রকল্প বিষয়ে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। প্রকল্প পরিচালকদের সাথে বৈঠক হয়েছে এবং বৈঠক শেষে প্রকল্পগুলো পরিদর্শনে গিয়েছিলাম।

 

গত ১১ ডিসেম্বর গঠিত তদন্ত কমিটিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. কামাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক ও সিডিএর সচিব রবীন্দ্র চাকমাকে সদস্য সচিব করা হয়। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার উপসচিব-২ মো. নাজমুল আলম, সিডিএর বোর্ড সদস্য স্থপতি সৈয়দা জেরিনা হোসাইন ও এডভোকেট সৈয়দ কুদরত আলী।

 

এরপর গত ৩১ ডিসেম্বর ও ৫ জানুয়ারি কমিটির সদস্য সচিব রবীন্দ্র চাকমা স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি চিঠিতে ১৩ প্রকল্পের পরিচালকদের কাছ থেকে প্রকল্পগুলোর ২১টি তথ্য চাওয়া হয়। যে ১৩ প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত হচ্ছে সেগুলো হলো- এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার, মুরাদপুর ফ্লাইওভার, কদমতলী ফ্লাইওভার, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, কালুরঘাট-চাক্তাই রিং রোড প্রকল্প, বাকলিয়া এক্সেস রোড, চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোড, সিডিএ স্কয়ার, কল্পতরু প্রকল্প, সল্টগোলা ডরমেটরি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মাস্টার প্ল্যান ও বায়েজিদ লিংক রোড প্রকল্প।

 

প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ২০ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে ছয়টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। সাতটি প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। প্রকল্পগুলো সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুচ ছালামের আমলে নেওয়া। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট