চট্টগ্রামের বাকলিয়ার শাহ আমানত সেতু এলাকায় পরিবহণ শ্রমিকদের দুপক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছে। হামলায় ৫টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছে চালকরা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ২ টার সময় এই ঘটনায় নতুন ব্রিজ বশিরুজ্জামান চত্বর থেকে নিউমার্কেটগামী টেম্পো চলাচল বন্ধ থাকে ২ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে। হামলার প্রতিবাদে ঘটনার পর বিক্ষোভ মিছিল করেছে পরিবহণ শ্রমিকরা। এ সময় বাকলিয়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন : মো.সোহেল, মো.আলী, মো.আবুল মনসুর ও মো.আলমগীর। তার মধ্যে মনসুর ও আলী মাথায় গুরতর আঘাত পেয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেন।
১৭ নং রোডের চট্টগ্রাম অটো টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং-১৩০৯/৮৭) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী জানান, পরিবহণ শ্রমিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কথা বলা শ্রমিকদের টর্চার সেল খুলে নির্যাতন ও চাঁদাবাজির সিণ্ডিকেট টিকিয়ে রাখতে কিশোর গ্যাং লালন পালনের দায়ে চট্টগ্রাম অটো টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা জানে আলমকে ৫ আগস্টের পর বহিস্কার করা হয়। আজ দুপুরে ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি কিশোর গ্যাং পাঠিয়ে আবারও ১৭ নং রোড দখল করতে পরিবহণ শ্রমিকদের উপর এই হামলা চালিয়েছে জানে আলম । এতে ৪ জনের মত শ্রমিক আহত হয়েছে। এই হামলার প্রতিবাদে সড়কে টেম্পো চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছে চালকরা। পরে বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন জানে আলমকে দ্রুত গ্রেপ্তার করবেন বলে আশ্বাস দেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এই বিষয়ে জানতে বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিনকে সন্ধ্যা সাতটার সময় বেশ কয়েক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
পূর্বকোণ/পারভেজ