দেশের দৈনিকগুলোতে গত কয়েকবছর ধরে খাদ্যে ভেজাল সম্পর্কে নানা অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশিত হয়ে আসছে। পাশাপাশি চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ঝটিকা পরিদর্শন, খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং অর্থদণ্ড প্রদান। বহুল আলোচিত মোবাইল কোর্টের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে অভিযান বন্ধের দাবিতে খাদ্যব্যবসায়ীরা ধর্মঘটও পালন করেছে বিভিন্ন সময়ে। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে পিলে চমকানো ভেজাল মিশাবার চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে।
এসব খবরে খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশ্রণের যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা বিস্ময়কর ও উদ্বেগজনক। উপরে ‘ফিটফাট’ হলেও অনেক হোটেলের ভিতরেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে। বিষাক্ত-পঁচা-বাসি-দুর্গন্ধযুক্ত খাবার পরিবেশন করছে এসব হোটেল। রান্নাঘরের অবস্থা ডাস্টবিনের চেয়ে গুরুতর। খাদ্যদ্রব্য তৈরি, খাদ্য-উপাদান, রান্নার স্থান, পরিবেশন থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রেই চলছে অনিয়ম। এভাবে প্রতিটি মুহূর্তে ভোক্তা-অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। নিত্যদিনই হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। কিন্তু এ বিষয়ে রাষ্ট্রের উদ্যোগ পর্যাপ্ত নয়। ফলে বিষমুক্ত খাবারের স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে।
বিভিন্ন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলছে, দেশে খাদ্যদ্রব্য যা বিক্রি হচ্ছে, তা মোটেও মানসম্পন্ন ও ভেজালমুক্ত নয়। কিন্তু ক্রেতা-ভোক্তাদের এই খাদ্যদ্রব্যই কিনতে ও খেতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভেজাল এবং বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশানো খাবার থেকে নানা জটিল রোগব্যাধির শিকার এবং শেষে অকালমৃত্যুর শিকার হলেও পরোক্ষ খুনের দায়ে এ যাবত কোন ভেজালকারীর ক্যাপিটাল পানিসমেন্ট হয়েছে- এমন কোন দৃষ্টান্ত এখনো বাংলাদেশে স্থাপিত হয় নি। ফলে মুনাফাশিকারীচক্রগুলো অবৈধ উপায়ে আরো বেশি মুনাফা শিকারের মানসে নির্বিঘ্নে খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মিশাচ্ছে। অথচ জনস্বাস্থ্যের জন্যে হুমকিপূর্ণ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদক ও পরিবেশনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে এই প্রতারকচক্র কিছুটা হলেও ভয় পেতো। বিভিন্ন গবেষণা-প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আজ খাদ্যের নামে অখাদ্য-কুখাদ্য, ভেজাল ও বিষতুল্য কেমিক্যাল খেয়ে মানুষের জীবনীশক্তি ও কর্মশক্তি নাশ হচ্ছে।
শাক-সবজিতে মিশানো হচ্ছে স্বাস্থ্যহানিকর কেমিক্যাল। কেক, জেলি, সস, ইত্যাদিতে মিশানো হচ্ছে ক্ষতিকর রং ও কেমিক্যাল। ফল পাকানো হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে। মরা মুরগি, পঁচা-বাসি খাবার তুলে দেয়া হচ্ছে ভোক্তাদের প্লেটে। গুঁড়া মসলাও নয় যথাযথ মানের। খাঁটি তেল, ঘি, বাটার অয়েলের নামে বিক্রি হচ্ছে বিষ। নানা বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশিয়ে এগুলোকে খাঁটি বানানো হচ্ছে। আমরা খাঁটি দই, মিষ্টি, আইসক্রিম যা খাচ্ছি তাও পঁচা-বাসি এবং ভেজালে ভরা। কেমিক্যালের হাত থেকে রেহাই পায়নি দেশের জাতীয় ফল কাঁঠালও। বিভিন্ন দৈনিকের অনুসন্ধানী রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে কাঁঠাল পাকাতে ও পচনরোধে নানা বিষাক্ত কেমিক্যাল এবং ফরমালিনমিশ্রিত পানিতে চুবানো হয়। আগে অন্যান্য ফলে ফরমালিন ও কেমিক্যাল মেশানো হলেও কাঁঠাল ছিল মুক্ত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে কাঁঠালও এসব বিষের শিকার হচ্ছে। ফলের রাজা আমে আছে প্রচুর পুষ্টি।
কিন্তু কেমিক্যালমুক্ত আম খেয়ে শরীরের সর্বনাশ ডেকে আনছে। ফরমালিন মেশানো ড্রামে লিচু একবার চোবালেই আর পচন ধরবে না। লিচু থাকবে তরতাজা ও টাটকা। ক্রেতারা মনে করবে এই মাত্র গাছ থেকে লিচু পেড়ে আনা হয়েছে। ফলে উচ্চমূল্য হাতিয়ে নেওয়া সহজ হবে। যার কারণে নীতি-নৈতিকতা বাদ দিয়ে মুনাফাশিকারীরা লিচুতে মানবদেহের জন্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করছে। কিন্তু বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো লিচু খেলে ক্যান্সার, কিডনি ও লিভারে জটিলব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে বলে সতর্ক করছেন চিকিৎসাবিশেষজ্ঞরা। মিনারেল ওয়াটারের নামে যে সব পানি আমরা খাচ্ছি তার বেশির ভাগই মিনারেল ওয়াটার নয়। এমনকি বিশুদ্ধও নয়। ফলে এসব পানি পান করে মানুষ জন্ডিস এবং টাইফয়েড-এর মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন। শুধু তাই নয়, বাজারে যেসব শিশুখাদ্য পাওয়া যায় সেসবও ভেজালে ভরা। গুঁড়ো দুধ, চিপস, জুস-সবই মানহীন এবং ভেজালে ভরা।
অধিকাংশ জুসে যা রয়েছে তার অনেকটাই বিষাক্ত কেমিক্যাল আর রং। এই বিষাক্ত কেমিক্যাল ও রং মানবস্বাস্থ্যের জন্যে খুবই ক্ষতিকর। বাজারে যেসব চিপস পাওয়া যায় সেগুলো কোনোভাবেই মানসম্পন্ন নয়। এমনকি মেয়াদ উত্তীর্ণেরও কোন তারিখ নেই; যতোদিন পর্যন্ত বিক্রি হবে না ততোদিন পর্যন্ত সেগুলোর মেয়াদ থাকে। ওইসব নিম্নমানের জুস ও চিপস খেলে শিশুরা পেটের পীড়াসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বাজারে মাছ তাজা ও আকর্ষণীয় করে রাখার জন্য বরফের পরিবর্তে বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহারের অভিযোগও অনেক পুরনো। এককথায় খাঁটি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যদ্রব্য পাওয়ার কোন উপায় নেই। যার কারণে ভেজাল, নকল ও বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য খেয়ে মানুষ পেটের পীড়া, জণ্ডিস, কিডনিরোগ, হৃদরোগ, লিভারের রোগ, ক্যান্সার ইত্যাদি জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী রোগব্যাধির শিকার হচ্ছে।
উন্নত দেশগুলোতে নকল-ভেজাল এবং বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্যের ক্রয়-বিক্রয়ের কথা কল্পনাও করা যায় না। সেসব দেশে খাদ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণের পর তা ফেলে দেয়া হয়, ভেজাল ও বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশানোর তো প্রশ্নই আসে না। কাউকে এ কাজে ধরতে পারলে কঠিন শাস্তি দেয়া হয়। তাছাড়া উন্নত দেশগুলোর খাদ্যব্যবসায়ীরা নৈতিকভাবে উন্নত হওয়ায় এসব অন্যায়-গর্হিত কাজ থেকে আপনা-আপনিই বিরত থাকেন। সেখানকার ক্রেতা-ভোক্তারা যেমন খাদ্যমানের ব্যাপারে সদাসতর্ক, তেমিন ব্যবসায়ীরাও প্রখর নৈতিক অনুশাসন এবং বিবেক দ্বারা পরিচালিত হন। ফলে উন্নত দেশগুলোতে মানুষের রোগব্যাধিও কম। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা পুরোপুরি এর বিপরীত। এদেশের জনগণ যেমন মানসম্পন্ন খাদ্যের ব্যাপারে উদাসীন, তেমনি খাদ্য-উৎপাদকগণও যথেষ্ট সতর্ক ও সচেতন নয়, তাদের নৈতিক মানও অতি নিম্নে।
মুনাফার জন্যে তারা সব অপকর্ম করতে পারে। আর সেজন্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিরুদ্ধে ধর্মঘট ডাকতেও দ্বিধা করে না তারা। বাংলাদেশে এধরনের বহু নজির আছে। উল্লেখ্য, মানহীন খাদ্যদ্রব্য তৈরী ও পরিবেশনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে আইন আছে। কিন্তু যা নেই তা হচ্ছে প্রয়োগ। বিএসটিআই থেকে শুরু করে কেউ অর্পিত দায়িত্ব পালন করেনি বলেই আজ মুনাফাশিকারীরা যা ইচ্ছে-তাই করছে। যদি এসব নীতিহীন খাদ্যব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া যেতো তাহলে আজ পরিস্থিতির এমন অবনতি হতো না। তবে এও স্বীকার্য যে, বর্তমান জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ যেসব আইন আছে সেসবও যথেষ্ট সময়োপযোগী নয়। বাংলাদেশে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণীত হয় এবং খাদ্যে ভেজাল রোধ-সংক্রান্ত সব আইন ও অধ্যাদেশ পর্যালোচনা করে ‘দ্য পিওর ফুড অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯’- রহিত করে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’ প্রণীত হয়।
নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ (২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৪৩ নং আইন) এর ৯০টি ধারা, ১৩টি অধ্যায়, ৩৩টি খাদ্য ভেজাল ও খাদ্য-সংক্রান্ত বিষয়ক সংজ্ঞা এবং নিরাপদ খাদ্য বিধিমালা ২০১৪ প্রণয়ন করা হয়। নিরাপদ খাদ্য আইনে ‘নিরাপদ খাদ্য’ বলতে প্রত্যাশিত ব্যবহার ও উপযোগিতা অনুযায়ী মানুষের জন্য বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যসম্মত আহার্যকে বুঝানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বাধ্যবাধকতা হিসেবে আইনে বলা হয়েছে যে, মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো মাছ, খাদ্য বা পশুখাদ্য বা খাদ্যপণ্য আমদানি বা মজুত বা বিতরণ বা বিক্রয় করা যাবে না। আইন অনুযায়ী, জীবননাশক বা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক বা ভারী ধাতু বা বিষাক্ত দ্রব্য মিশ্রিত কোনো খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, আমদানি, প্রস্তুত, মজুত, বিতরণ, বিক্রয় বা বিক্রয়ের অপচেষ্টা করলে অনূর্ধ্ব সাত বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে। পুনরায় একই অপরাধ করলে সাত বছর থেকে অনূর্ধ্ব ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন ১০ লাখ টাকা জরিমানা।
এছাড়া দূষণ মিশ্রিত কোনো খাবার বিক্রি করলে; ভেজাল খাবার বিক্রয় বা বিক্রয়ের অপচেষ্টা করলে; হোটেল বা রেস্তোরাঁ বা প্রতিষ্ঠানের অবহেলা; মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা করলে; শর্ত ভঙ্গ করে কোনো খাদ্যদ্রব্য মজুত বা প্রস্তুত করলে; অনুমোদিত ট্রেডমার্ক বা ট্রেডনামে বাজারজাত করা কোনো খাদ্যপণ্য নকল করে বিক্রয়ের চেষ্টা করলে; খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন বা সংরক্ষণের স্থানে শিল্প-কারখানার তেল বা খনিজ বা বর্জ্য থাকার অনুমোদন দেওয়াসহ এমন ২০ ধরনের অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব সাত বছর থেকে কমপক্ষে দুই বছর শাস্তি এবং অনধিক ১০ লাখ টাকা অথবা কমপক্ষে তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। একই অপরাধ পুনরায় করলে শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়ানোর বিধান রাখা হয়েছে। আইনটির আরো সময়োপযোগীকরণ দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে নিরাপদ খাদ্যের জন্য যে আইনটি আছে, তারও প্রয়োগ যথাযথভাবে হচ্ছে না।
আইনটি যথাযথ বাস্তবায়ন হলে মানুষ কিছুটা হলেও উপকৃত হতো। উল্লেখ্য, নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে জীবনধারণের জন্য খাদ্যের সংস্থান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্রকে নাগরিকদের নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো তাই করে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)বলছে, খাদ্যনিরাপত্তা হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে পৃথিবীর সব স্থানের সব মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় পছন্দের খাবার পাওয়ার দৈহিক ও আর্থিক সুযোগ সৃষ্টি করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, খাদ্যনিরাপত্তার চারটি পিলার বা স্তম্ভ আছে। যথা- সহজলভ্যতা (availability), প্রবেশাধিকার (access), উপযোগিতা (utilization) ও স্থিতিশীলতা (stability)। বাংলাদেশে শুধু নয়, সারা বিশ্বে নিরাপদ খাদ্য ভোক্তার অধিকার হিসেবে রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে। নিরাপদ খাদ্য ভোক্তার অধিকার বলে গণ্য হয়। পৃথিবীর প্রতিটি দেশ নিরাপদ খাদ্যকে ভোক্তার অধিকার হিসেবে নেয় এবং এর ব্যত্যয় সেসব দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু আইনের প্রয়োগ না হওয়ায়, একইসঙ্গে খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর দ্রব্য মেশানো রোধে নাগরিক-সচেতনতার অভাব, নৈতিকতা ও বিবেকবোধ জাগ্রত না হওয়ার কারণে নিরাপদ খাদ্যের অধিকার থেকে নাগরিক-সাধারণ বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা মনে করি, যারা মুনাফার পাহাড় গড়তে গিয়ে খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মিশিয়ে মানুষ খুন করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এজন্যে সরকারকে আইনের সময়োপযোগীকরণ ও বাস্তবায়নে যেমন উদ্যোগী হতে হবে, তেমনি যেসব সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী খাদ্যমান যাচাই, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নিয়োজিত তাদের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে। অসাধুদের বিরুদ্ধে নিতে হবে কঠোর পদক্ষেপ। তবে একথাও ঠিক, আইন মানুষকে শুধুমাত্র বাহ্যিকভাবেই নিয়ন্ত্রণ করে, মনের নিয়ন্ত্রণটাই হচ্ছে আসল। তাই প্রতিদিন মানুষের নৈতিকতাকে জাগরিত করতে হবে।
নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের উন্নয়ন এ ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত সুফল বয়ে আনবে। তবে রাতারাতি এ বিষয়ে সাফল্য আসবে এমন নয়, যথাযথ কর্মসূচির মাধ্যমে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ সকলকে সম্পৃক্ত করে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে একদিন অবশ্যই ফল পাওয়া যাবে। আমরা প্রত্যাশা করতে চাই, সরকার খাদ্যকেন্দ্রিক সকল অপরাধ দমনে কঠোর হবে এবং এ বিষয়ে একটি নৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
পূর্বকোণ/ইব