প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ক্যাটাগরিতে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে ফটিকছড়ির কৃতি সন্তান মো. নাসির মাহমুদকে এনআরবি ২০২৫-পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার আজম এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পদকপ্রাপ্ত নাসির মাহমুদের সম্মানে সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে এলাকাবাসী বলেন, নাসির মাহমুদ শুধুমাত্র আমাদের এলাকার নন, তিনি একজন রাষ্ট্রীয় সম্পদে পরিণত হয়েছেন। রাষ্ট্র তাকে বৈধপথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য সম্মাননা দিয়েছেন। আমরা তার জন্য গর্বিত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নাসির মাহমুদ বলেন, দেশ এখন রেমিট্যান্স’র উপর নির্ভরশীল। দেশের অর্থনীতির চাকা প্রবাসীদের হাতেই। আমি অনুরোধ করব প্রবাসীরা যেন হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে, বৈধপথে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠায়।
উল্লেখ্য, ওমান প্রবাসী মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভা, ৬ নং ওয়ার্ডের মরহুম মোহাম্মদ ইসলামের ছোট ছেলে। তিনি ১৯৯১ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি গড়ে তুলেন ‘গ্লোবাল মডার্ন প্রজেক্ট’ নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি মূলত গাড়ির এক্সেসরিজ, স্পেয়ার পার্টস ক্রয় বিক্রয়সহ পাইকারি ও খুচরা বিক্রির জন্য প্রসিদ্ধ। ধীরে ধীরে তিনি রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে অবদান রাখছেন দেশের অর্থনীতিতে। তারই অবদানসরূপ তিনি ‘সিআইপি’ মর্যাদা অর্জন করেন।
নাসির মাহমুদ প্রায় তিন যুগ ধরে সুনামের সঙ্গে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। আয়কৃত অর্থ বৈধ পথে দেশে পাঠিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তিনি দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদ্রাসা-এতিমখানাসহ ধর্মীয়, সামাজিক মানবিক ও সেবামূলক সংগঠনকে আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন। তার এই রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়ায় এলাকাবাসী গর্বিত।
পূর্বকোণ/এমটি/পারভেজ