নতুনত্বের ছোঁয়া পাচ্ছে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। পর্যটকদের আকর্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে পতেঙ্গা সৈকতের সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। সেখানে নতুন করে সড়ক বাতি লাগানো, ব্লকে রং, বাগান নির্মাণ এবং পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যটকদের আর্কষণ বাড়াতে সিডিএ এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, আগামী বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পতেঙ্গা সমুদ্র-তীরবর্তী এলাকায়’ আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য সৌন্দর্যবর্ধন ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজের উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম বলেন, নগরে পর্যটকদের বিনোদনের অন্যতম জায়গা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। মূল সমুদ্র সৈকতের পাশে সিডিএ’র ২২ একর জায়গা রয়েছে। এটি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটি মানসম্পন্ন পর্যটন এলাকায় যা যা সুবিধা থাকা প্রয়োজন পতেঙ্গায় সেসব রাখার আমরা চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে সেখানে ক্যাবলকার, টয়ট্রেন এবং সাইকেললেনও থাকবে। তবে সেখানে কোন স্ট্রাকচার থাকবে না। পুরোটা গার্ডেন এবং ওপেন স্পেস থাকবে। প্রয়োজনে এ ক্ষেত্রে আমরা সিটি কর্পোরেশন এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিবো।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম সিডিএর বাস্তবায়নাধীন রিং রোড ও পতেঙ্গা সি-বিচ সংলগ্ন ৬ কিলোমিটার এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তারা পতেঙ্গা সি-বিচ সংলগ্ন এলাকা অধিকতর পর্যটনবান্ধব করার বিষয়ে একমত হন।
উল্লেখ্য, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ২০০৫ সাল থেকে পতেঙ্গা হতে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে। দুই বার সংশোধনের পর ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় পতেঙ্গায় সাগরপাড়ে ৫ কি.মি এলাকাজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র।
পূর্বকোণ/ইব