চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

শিল্পকলা একাডেমির নিয়োগে দুর্নীতি: লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৪:৫৭ অপরাহ্ণ

নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

 

শিল্পকলা একাডেমির নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক সুমিত্রা সেন গত ৬ অক্টোবর বাদী হয়ে ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

 

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক (প্রশাসন) জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, কালচারাল অফিসার আল মামুন, মো. হামিদুর রহমান, বেগম সুদীপ্তা চক্রবর্তী, হাসান মাহমুদ, বেগম রুনা লায়লা মাহমুদ, সহকারী পরিচালক (বাজেট ও প্ল্যানিং) বেগম সামিরা আহমেদ, স্টেজ ম্যানেজার বেগম রহিমা খাতুন, গাইড লেকচারার মো. মাহাবুবুর রহমান, ইন্সট্রাকটর (সংগীত ও যন্ত্র) বেগম মীন আরা পারভীন, ইন্সট্রাকটর (নৃত্য) বেগম প্রিয়াংকা সাহা, যন্ত্রশিল্পী (গ্রেড-৩) নারায়ণ দেব লিটন ও মোহাম্মদ জিয়াউল আবেদীন, নৃত্যশিল্পী (গ্রেড-৩) বেগম লায়লা ইয়াসমিন, বেগম মিফতাহুল বিনতে মাসুক, বেগম আলকা দাশ প্রাপ্তি ও বেগম সুমাইতাহ তাবাসসুম খানম, কণ্ঠশিল্পী বেগম রোকসানা আক্তার রূপসা, আবদুল্লাহেল রাফি তালুকদার, মো. সোহানুর রহমান, বেগম আবিদা রহমান সেতু ও বেগম মোহনা দাস এবং ক্যামেরাম্যান (জনসংযোগ) মো. রুবেল মিয়া।

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও পরিচালক (প্রশাসন) জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার নম্বরপত্রে পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেন। আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বরপত্রে নম্বর বাড়িয়ে অবৈধভাবে ১০টি পদে ২৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেন।

 

অভিযোগে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের উত্তীর্ণ করে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে তাদের বেতনভাতা বাবদ সরকারি তহবিল থেকে নেওয়া ৮ কোটি ২৮ লাখ ৪৯৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট