চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মাসুদ খন্দকারকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া খোরশেদ সদ্দারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ- তাকে আহত করেছে আওয়ামী লীগের কাশেম বাহিনীর প্রধান মো. আবুল কাসেম ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
আহত যুবদলের সভাপতি মাসুদ খন্দকারের স্ত্রী নিলুপা ইয়াসমিন জানান, রাত ৮টার দিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে কসেম বাহিনীর প্রধান কাশেম দলবল নিয়ে তার স্বামীর উপর আকস্মিক হামলা চালায়। মাসুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। স্থানীয়রা তাদের উপর চড়া হলে তারা পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, কাশেম আওয়ামী লীগ করেন। তার নামে হত্যা মামলাসহ দুটি মামলা রয়েছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি। আকস্মিক এলাকায় ঢুকে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের উপর গুপ্ত হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। বাহিনীটি এ ধরনের কয়েকটি ঘটনা ঘটালেও প্রশাসনের নিরবতায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী।
নিলুপা আরও জানান, সীতাকুণ্ডে ৯৭-৯৮ সালের দিকে বিএনপি নেতা মুন্সি মিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনা সীতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় কাশেমকে।
মামলাটি হওয়ার পর দেশের বাইরে আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে দেশে এসে মামলা থেকে জামিন নেয়। এর কিছুদিন পর দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বাদিকে জিম্মি করে টাকা-পয়সা দিয়ে মামলা থেকে খালাস নেয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশের ফয়সাল রহমান সবুজ জানান, রাত ১১টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় মাসুদ খন্দকারকে মেডিকেল আনা হয়। তিনি বর্তমানে ২ ওয়ার্ডের ক্যাজুয়ালিটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মাথায় অতিরিক্ত আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি মুজিবুর জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন মামলা করা হয় নি। তবে আহত মাসুদের পরিবারের লোকজন থানায় এসে মামলা করবে বলে জানিয়েছেন। মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্বকোণ/আরআর/এএইচ