চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

মানবজাতিকে সতর্ক করতে কক্সবাজার সৈকতে আকাশছোঁয়া ‘প্লাস্টিক দানব’

বিজ্ঞপ্তি

৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১:৪৫ অপরাহ্ণ

সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নির্মিত হয়েছে আকাশছোঁয়া একটি ‘রোবট দানব’। পরিত্যক্ত সামুদ্রিক প্লাস্টিক দিয়ে একদল স্বেচ্ছাসেবী এই রোবট দানব তৈরি করেন। এই দানব প্লাস্টিক দূষণে প্রাণ-প্রকৃতির বিরূপতার সাক্ষ্য দিচ্ছে।

 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নির্মিত সৈকতের সুগন্ধা সিগাল পয়েন্টে প্রদর্শন করা হচ্ছে ওসান প্লাস্টিক বর্জ্যে তৈরি এ দানব ভাস্কর্যের। এই রোবট ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ইয়ামিন হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী, বিদ্যানন্দের গভর্নিং বডির সদস্য জামাল উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দিন বাহারী প্রমুখ।

 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই সমাগম ঘটে লাখো পর্যটকের। যারা সৈকতের বালিয়াড়ি ও সাগরের পানিতে ফেলছেন প্লাস্টিক পণ্যসামগ্রীর বর্জ্য। এতে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে দূষণ এবং হুমকির মুখে পড়ছে সামুদ্রিক জীব ও মানবজীবন। দূষণরোধে ও সচেতনতা সৃষ্টিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নিয়েছে ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগ।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ভাস্কর ও শিল্পী আবীর কর্মকার জানান, প্লাস্টিক দানবটি তৈরি করেছেন ঢাবির চারুকলা বিভাগের একদল শিল্পী। এতে তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের পাশাপাশি ব্যবহার করেছেন কাঠ, পেরেক ও গামসহ আরও কয়েকটি উপকরণ। শিল্পীদের দাবি, এটি ওসান প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি বিশ্বের সর্ববৃহৎ রোবট দানব। এর উচ্চতা ৬২ ফুট। এটি বানাতে প্রায় ১০ মেট্রিকটন প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়েছে।

 

বিদ্যানন্দের দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবক মুহাম্মদ মুবারক জানান, প্রায় এক মাস ধরে কক্সবাজার, ইনানী ও টেকনাফের সমুদ্র সৈকত থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে অন্তত ১০ মেট্রিকটন সামুদ্রিক প্লাস্টিক বর্জ্য। এসব বর্জ্য দিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নির্মাণ করা হয়েছে এ ‘প্লাস্টিক দানব’।

 

তিনি আরও জানান, বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটক ও স্থানীয়দের মাঝে প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগ। আর এটি পুরো পর্যটন মৌসুমে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এটাকে কেন্দ্র করে এখানে প্লাস্টিক দূষণবিরোধী সচেতনতামূলক পথনাটক ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট