৩৩তম আন্তর্জাতিক এবং ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর)। বিশ্বজুড়ে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সুরক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে।
জাতিসংঘ কর্তৃক দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ, বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ।’ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও আনন্দের।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবস উদযাপন উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক জরিপের সর্বশেষ তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৩৫ লাখ ২১ হাজার ৬০৬ জন। এর মধ্যে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৭৮৭ জন পুরুষ, ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯১১ জন নারী ও ২ হাজার ৯০৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের।
প্রতিবন্ধিতার ধরন বিবেচনায় অটিজম ৯০ হাজার ৪০৮ জন, শারীরিক প্রতিবন্ধিতা ১৮ লাখ ২৯ হাজার ১১৭ জন, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক ও অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধিতা ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩০ জন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা ৪ লাখ ৭২ হাজার ৫০৫ জন, বাকপতিবন্ধিতা ২ লাখ ৮৮২ জন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা ২ লাখ ২৯ হাজার ৮ জন, শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৭ জন, শ্রবণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা ১৫ হাজার ৬৩ জন, সেরিব্রাল পালসি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৩৯ জন, বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধিতা ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৭ জন, ডাউন সিনড্রোম ৭ হাজার ১০৩ জন এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ২০ হাজার ১৮৭ জনকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০২৪ পালনে সকলকে সাথে নিয়ে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
এক তিনি বার্তায় বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অংশগ্রহণে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্রজনতার আত্মাহুতির বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন রূপে পেয়েছি। এদেশকে প্রতিবন্ধী-অপ্রতিবন্ধী নির্বিশেষে সবার বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ