ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের হামলায় নিহত এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যা মামলার আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করার কারণে আইনজীবীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নেজাম উদ্দিন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বরাবর লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন নেজাম উদ্দিন।
পদত্যাগপত্রে এপিপি নেজাম উদ্দিন লেখেন, ‘আমি রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি হয়েও আসামি পক্ষে ওকালতনামা দাখিল করে আইনজীবী আলিফ হত্যার আসামিদের জামিন শুনানিতে সহায়তা করার সমস্ত দায়ভার স্বেচ্ছায় গ্রহণপূর্বক দোষী সাব্যস্ত হয়ে মহানগর পিপি মহোদয়ের উপস্থিতিতে বিজ্ঞ আইনজীবীদের সামনে পদত্যাগ করিলাম।’
এরপর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের নিরোপিত অতিরিক্ত পিপি পদ প্রত্যাহার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মফিজুল হক ভুইয়া। সাধারণ আইজবীবীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত ২৬ নভেম্বর ইসকনের জঙ্গী সন্ত্রাসী কর্তৃক গাড়ি ভাঙচুর, মসজিদে হামলা এবং এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, যা বর্তমানে বাংলাদেশে চাঞ্চল্যকর ও সংবেদনশীল ঘটনা। তারই প্রেক্ষিতে কোতোয়ালী থানায় ভিন্ন ভিন্ন একাধিক মামলা হয়েছে। উক্ত মামলার আসামি মোহাম্মদ নুরু ও মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নেজাম উদ্দিন পাবলিক প্রসিকিউটর হওয়া সত্ত্বেও জিআর মামলায় আসামির পক্ষে ওকালতনামা সহকারে দুইজন গ্রেপ্তার আসামির জামিনের প্রার্থনা করে অতিরিক্ত পি.পি. পদের অপমর্যাদা করেন। যার ফলে আরোপিত দায়িত্বের বরখেলাপ ও নৈতিক স্থলন হওয়ায় এবং মসজিদ ভাঙচুর ও আইনজীবীদের ওপর হামলা এবং আদালত প্রাঙ্গণে হামলার মামলায় আসামিদের পক্ষে জামিনের প্রার্থনা করায় সাধারণ আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম পূর্বকোণকে বলেন, আমার কাছে একজন আইনজীবী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনো হাতে পাইনি।
এবিষয়ে জানতে আইনজীবী নেজাম উদ্দিনকে একাধিক ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ