চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী মো. হারুন রশিদকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণের ঘটনার মূলপরিকল্পনাকারীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আল ফয়জুল আলম প্রকাশ রবিউল (৩৫), মো. সোহানুর রহমান (২৮), মো. সাদেকুল আলম (২৯), মো. লোকমান শরীফ (৩৫), মো. শফিকুল ইসলাম বাপ্পী (৩০) ও মো. আরমান প্রকাশ মানিক (৪৪)। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ।
তিনি জানান, অপহৃত মো. হারুন রশিদ ফটিকছড়ির ভুজপুর থানার নারায়ণহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত ৮টায় তিনি বায়েজিদের মাইজপাড়া এলাকায় তার পরিচিত দুই ব্যক্তির সাথে আলাপ করছিলেন। এসময় হাটহাজারী থেকে অক্সিজেনগামী একটি রূপালী রঙের প্রাইভেটকার তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে তিন জন এবং আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আরো আট নয়জন ব্যক্তি হঠাৎ হারুনকে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা হারুনের মোবাইল ব্যবহার করে তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই হাটহাজারী এবং রাউজান থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে দিবাগত রাত ৩টায় হাটহাজারী মোড় থেকে মুক্তিপণ বাবদ টাকা নিতে আসা ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ একটি মোটরসাইকেল এবং একটি জিপগাড়ি জব্দ করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তারা রাউজানের সুলতানপুর সিটিয়াপাড়া হারুন চেয়ারম্যানের বাড়ির নাছির উদ্দিনের ঘরে ভিকটিমকে মঞ্জুর আলম নামে এক ব্যক্তির কাছে রেখে আসে বলে জানায়। এরপর পুলিশ সেখানে পৌঁছার আগেই অপহৃত ব্যবসায়ীকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায় আসামিরা। রাতের বেলায় তাকে বিভিন্ন পাহাড়ি জঙ্গলে নিয়ে মুক্তিপণের টাকার জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পৌনে ১১টায় হলুদিয়া ইউনিয়নের রহমানিয়া মাদ্রাসার পাশ থেকে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। তবে এসময় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর